অল্পেই গুটিয়ে গেল রংপুর

 চট্টগ্রামে খুলনার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করেছে রংপুর। দলের পক্ষে শেখ মেহেদী হাসান ও পারভেজ হাসান ইমন ছাড়া বলার মতো রান পাননি রংপুরের আর কোনো ব্যাটার।

সাইড স্ট্রেইন ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। তার বদলে এদিন অধিনায়কত্ব করতে নামেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। পাকিস্তানি অধিনায়কের নেতৃত্বে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রনি তালুকদারকে শূন্য রানে ফেরান নাহিদুল ইসলাম।

পারভেজ ইমন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল রংপুর। নিজের দ্বিতীয় ও দলীয় তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ১৩ রান করা নাঈম শেখকেও তার হাতেই ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন নাহিদুল। ২২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে রংপুর।

শেখ মেহেদী ও পারভেজ ইমন মিলে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হন। অষ্টম ওভারে ওহাব রিয়াজ তুলে নেন পারভেজ ইমনের উইকেটটি। ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৫ রান করেন এই বাঁহাতি।

অধিনায়ক শোয়েব মালিকও ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। আমাদ ভাটের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১৪ বল খেলে করেছেন মাত্র ৯ রান। ব্যর্থ হয়েছেন শামিম হোসেনও। ৯ বলে ৪ রান করে লং-অনে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাকেও ফেরান আমাদ ভাট।

রংপুরকে ব্যাট হাতে আশা দেখানো শেখ মেহেদীও এরপর আর বেশিক্ষণ টেকেননি। আমাদ ভাট ফেরান তাকেও। ৩৪ বলে ২ চার ও ২ ছয়ে ৩৮ রান করেন এই অলরাউন্ডার।

ব্যাট হাতে ব্যর্থের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। ৭ বলে ৯ রান করে ওহাব রিয়াজের শিকারে পরিণত হন তিনি। অনেকটা দৌড়ে তার ক্যাচটি দুর্দান্তভাবে লুফে নেন মাহমুদুল হাসান জয়। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নেওয়াজ ১১ বলে ৫ রান করে ওহাব রিয়াজের শিকারে পরিণত হন।

শেষদিকে রাকিবুল হাসান ব্যাট হাতে ক্যামিও খেলে রংপুরের স্কোরটা একটা ভদ্রস্থ চেহারা দেন। ৭ বলে ১২ রান করেন তিনি।

বল হাতে খুলনার পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ওহাব রিয়াজ। ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আমাদ ভাট। ২টি উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল ইসলাম।

এনবিএস/ওডে/সি

news