মিরপুরে হবে গ্রিন হাউজ টার্ফ, বৃষ্টিতেও থামবে না ক্রিকেটারদের অনুশীলন

বছরে প্রায় ছয় থেকে সাত মাসই বাংলাদেশে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বৃষ্টির সময়ে অনুশীলন করতেও বেগ পেতে হয় ক্রিকেটারদের। এমন ঘটনাও দেখা গেছে যে, গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ বা টুর্নামেন্টের আগে বৃষ্টি বাধায় অনুশীলন করতে না পারায়, বিদেশে গিয়ে ক্যাম্প করতে হয়েছে টাইগারদের। তাছাড়া তীব্র রোদে অনুশীলন করাও বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই এসব দিক বিবেচনা করে এবার গ্রিন হাউজ টার্ফ বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে এমন উইকেটের ব্যবহার অনেক আগে থেকে আছে। তবে আমাদের দেশে এই প্রথম হচ্ছে। তাই পাইলট প্রজেক্টের অংশ হিসেবে শুরুতে মিরপুরের ইনডোরে স্থাপন করা হবে এই গ্রিন হাউজ টার্ফ। যেখানে প্রায় ২০টি উইকেট থাকবে।

গ্রিনহাউজ টার্ফ নিশ্চিত করা হলে বেশ কয়েকটি সুবিধা পাবেন দেশের ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বেশির ভাগ সিরিজ বা আসরের আগে অনুশীলনে বৃষ্টি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মাঠ ভেজা থাকার ফলে অনেক সময় মূল মাঠে অনুশীলন করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। আর এসব সমস্যার কার্যকরী সমাধান হতে পারে গ্রিন হাউজ টার্ফ।

এ প্রসঙ্গে বুধবার বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম বলেন, 'আমরা এ বছরের মধ্যে গ্রিন হাউজের এফেক্টে যেটা নিউজিল্যান্ড -অস্ট্রেলিয়াতে হয়েছে, আমরা এই একাডেমি মাঠে এটা স্থাপন করতে যাচ্ছি। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সেটাতে ২০টা উইকেটকে আমরা কাভার করবো। ফ্রম নর্থ এবং সাউদার্ন সাইডে। এই ২০ টা উইকেট পুরো বর্ষায় ন্যাচারাল টার্ফে ক্রিকেট খেলতে পারবে, এটা এই জুনের মধ্যেই স্থাপিত হয়ে যাবে'
বিসিবির এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উইকেট স্বল্পতা সমস্যাও কিছুটা কমে আসবে। কারণ এই প্রকল্পের অধীনে আরও ২০টি উইকেট হবে একাডেমি মাঠে। যার ফলে একসঙ্গে আরও ২০ জন ক্রিকেটার নেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি কিংবা ঘরোয়া আসরের সময় ক্রিকেটারদের নেট পেতে বেগ পেতে হয়। এবার সেই সমস্যারও সমাধান হতে পারে গ্রিন হাউজ টার্ফ।

মাহবুব আনাম বলেন, আমরা যেই কাজ গুলা করছি সেই কাজগুলা হয়তো আপনাদের চোখে ইমিডিয়েটলি পড়বে না কিন্তু আমি মনে করি আগামী এক বছরের ৬মাস থেকে ১ বছরের  মধ্যে আমাদের এই প্র্যাকটিস এবং মাঠের স্বল্পতা যতটুকু পারি চেষ্টা করবো কমিয়ে আনতে।

এনবিএস/ওডে/সি

news