নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান না করা পর্যন্ত সরকারি কর্মচারিদের অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি।
শনিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ২০১৫ সনে সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর বিগত ৭ বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, চিকিৎসা ব্যয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া যায় সীমিত আয়ের সরকারি কর্মচারিদের জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এহেন অবস্থায় নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান অত্যাবশ্যক।
সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ নতুন বেতন স্কেল প্রদান না করা পর্যন্ত অসহায় ও হতাশাগ্রস্থ সরকারি কর্মচারিদেরকে অন্তবর্তীকালীন সম করাসহ চিকিৎসা ভাতা ৪ হাজার টাকা প্রদান এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য নিরসনকল্পে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয় বহির্ভূত অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর-প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কমর্রত, প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, স্টেনোগ্রাফার, কম্পিউটার অপারেটর, স্টোর কিপারসহ সমমানের সমমর্যাদার কর্মচারীদের পদ-পদবী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বপদে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা ও বেতনস্কেল প্রদান, ডিপ্লোমা নার্সদের ন্যায় সমশিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা হেলথ টেকনােলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও সমশিক্ষাগত যােগ্যতাধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদাসহ বেতনস্কেল প্রদানের দাবী জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ তাদের দাবী বাস্তবায়নে আগামী ২৪ মে, ২০২২ রোজ মঙ্গলবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সমীপে দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান, আগামী ২৬ মে, ২০২২ রোজ বৃহস্পতিবার হতে ০৯ জুন, ২০২২ রােজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন দপ্তর/প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক বিভাগ ও জেলাসমূহে দাবীর সমর্থণে কর্মচারি সমাবেশ এবং দাবী বাস্তবায়নে না হলে আগামী ১১ জুন, ২০২২ রোজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
"সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব জনাব মোঃ ছালজার রহমান এবং সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি মােঃ লুৎফর রহমান; কার্যকরী সভাপতি নুরুন্নবী, রায়হান চৌধুরী, আসাদুজ্জামান, তাইজুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির; সহসভাপতি সেলিম মোল্লাহ, মনিরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, খতিবুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ইব্রাহিম মিয়া, মোজাম্মেল হক; অতিরিক্ত মহাসচিব তাপস কুমার, মনির হােসেন বাবু, মফিজুল ইসলাম পিন্টু, মজিবুর রহমান খান, মনিরুল ইসলাম; ঢামিক সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান, সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ রাসেল ও মাহাতাব উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মামুন, অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক এনামুল হক; অন্যান্যদের মধ্যে ফারুক বিশ্বাস, দৌলতউজ্জামান, ফরহাদ হােসেন, সেলিম রেজা, লিপি আক্তার, নাজমা আক্তার, রুবিয়া ইয়াসমিন, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান, হাদিউজ্জামান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন বিমক, আনোয়ার হোসেন বিএসটিআই, আনোয়ার হোসেন শিক্ষা বোর্ড, আরিফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান এবং উপদেষ্টা বীর মুক্তিযােদ্ধা হারুন অর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাহফুজুর রহমান ও নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
