গুম একটি মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন বলেন, গুমের মত অপরাধ সংগঠিত ঘটনা রাষ্ট্র দায় এড়াতে পারে না। মানুষ বেঁচে থাকার চলাফেরা করার জন্মগত অধিকার। এই অধিকারকে গুম নামক একটি অপরাধ বাংলাদেশে চলমান হয়েছে। যা মানুষের মানবিক বিবেকবোধকে নাড়া দিচ্ছে।

বুধবার (২৫ মে) মে মাসের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী সপ্তাহ উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার বরাবরই গুমের ঘটনাগুলো সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে অস্বীকার করে আসছে। আন্তর্জাতিক তদন্ত এবং সমালোচনা সত্ত্বেও, সরকার ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলি তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তারা নিয়মিতভাবে রাষ্ট্র দ্বারা বিভিন্ন হুমকি এবং হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছে। অনেক মামলায় গুমের শিকার ব্যক্তিদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ফৌজদারি অপরাধে মিথ্যা অভিযোগের পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। জবাবদিহিতার অভাবে কোনও বিচারিক প্রতিকার না পেয়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনরা ক্ষোভ এবং হতাশায় রাজপথে নেমেছে।

তারা বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের অসহায় পরিবারকে সহায়তা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। সর্বশেষে অবিলম্বে সকল নাগরিককে গুম হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়া সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন (আইসিপিপিইডি) স্বাক্ষর এবং ২০১৯ সালে গুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সংক্রান্ত জাতিসংঘের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

news