আলিয়া স্ত্রী নয় ‘লিভ ইন পার্টনার’

বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও আলিয়া সিদ্দিকীর দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছে না অনেক বছর ধরেই। সেই টানাপোড়ন বর্তমানে রুপ নিয়েছে লড়াইয়ে। যা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। সম্প্রতি নওয়াজউদ্দিনের নামে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মুম্বাইয়ের ভরসোভা থানায় মামলা করেছেন আলিয়া। এদিকে আলিয়া সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, নওয়াজ তার কাছ থেকে তাদের সন্তানদের চুরি করার চেষ্টা করছেন।

আলিয়া আদালতে দাবি করেছেন, ২০১০ সালে তারা বিয়ে করেছেন। এখন নওয়াজ সেই বিয়ে অস্বীকার করছেন। এদিকে নওয়াজ আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আলিয়া আমার স্ত্রী নয়, সে আমার ‘লিভ ইন পার্টনার’ ছিল। তার সাথে শুরুতে বিয়ে হলেও ২০১১ সালেই আমাদের বিচ্ছেদ হয়।’

নওয়াজ বিচ্ছেদের কথা বললেও তা মানতে নারাজ আলিয়া। গণমাধ্যমে তিনি দাবি করেছেন, ডিভোর্সের কোনো কাগজে তিনি সাইন করেননি। এর আগে একবার ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন ঠিকই তবে পরবর্তীতে কথা বলে নিজেরা সব কিছু মিটিয়ে নেন। সেই হিসেবে তাদের ছোট সন্তান ছেলে ইয়ানির পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আলিয়া জানিয়েছেন, নওয়াজের পরিবার বিশেষ করে শাশুড়ি তাদের ছোট ছেলেকে ‘নাজায়েজ’ বলেছে। তারা যদি বিবাহিত না-ই হন, তাহলে এতদিন কেন তার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন নওয়াজ।

তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি যখন প্রথমবার লিভ ইনের কথা শুনলাম, আমি অবাক। ১২ বছর ধরে বিবাহিত সম্পর্কের পর এটা কত বড় শাস্তি তুমি আমায় দিচ্ছ। তুমি বলছ একটা বাচ্চা (মেয়ে শোরা) তোমার চাই, আর আরেকটা বাচ্চা (ইয়ানি) কে তুমি বলছ লিভ ইন থেকে হওয়া সন্তান। তুমি কোনোদিন বাচ্চাদের বড় হতে দেখলে না। আজ এসে বাচ্চাদের নিতে চাইছ। আমাকে বলছ তুমি এতদিন লিভ ইনে ছিলে। এদিকে সব কাগজে আমার পরিচয় তোমার স্ত্রী হিসেবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news