চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি সিনেমা হল বাঁচাতে হল বন্ধের কর্মসূচিতে যাচ্ছে

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সিনেমা হল বাঁচাতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে। আগামী শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিনেমা হল বাঁচাতে সরকারের কাছে আল্টিমেটাম দিবে। প্রয়োজনে সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা আসবে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন শর্তসাপেক্ষে হিন্দি সিনেমার আনার পক্ষে মত দেন। এমন খবরে সার্ভার আনার প্রস্তুতিও নেন অনেক হল মালিক। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় হল মালিকদের মধ্যে দেখা দেয় ক্ষোভ।

হল মালিকরা হল বাঁচাতে উপমহাদেশে হিন্দি ছবি বৈধ পথে আমদানি করে প্রদর্শনের পক্ষে। তারা চান ছবি। ছবির অভাবে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যাও চালু রয়েছে তাও বন্ধের পথে বলে জানান সিনেমা হল মালিক সমিতির নেতারা।

সিনেমা হল মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি বলেন, আমরা ছবি চাই। বাংলা কিংবা হিন্দি। আমাদের দেশে ইংরেজি মুভি চলতে পারলে উপমহাদেশের বাংলার বাইরে হিন্দি ছবি চলতে অসুবিধা কোথায়। আমরা তে মারাঠি। তামিল ছবি চাচ্ছি না।

তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে বৈঠকে বসেছিলাম। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের নেতারা শর্ত সাপেক্ষে হিন্দি ছবির আমদানি পক্ষ অনাপত্তি জানান। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে খুশী হলাম। অথচ কোন সিদ্ধান্ত জানতে পারলাম না।

তিনি আরও বলেন,আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে ১৯ সংগঠনের নেতা একমত হয়েছিলেন। কিন্তু কালক্ষেপণ করায় হল মালিকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। হল মালিকরা  চাপ দিচ্ছেন  হল বন্ধের। আমরা আজ বুধবার বৈঠক করেছি।

হোটেল ভিক্টরিতে  বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কাজী শোয়েব রশিদ। বৈঠকে সমিতির সাধারন সম্পাদক মো আওলাদ হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন, রফিকুল হক, রোকনুজ্জামান ইউনূস রুবেল, শরফুদ্দিন এলাহী সম্রাট, সুদীপ্ত কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অতীতে হল বাঁচাতে প্রদর্শক সমিতির আহ্বানে সাড়া দিলে তিনি সকল সংগঠনের ঐকমত্যের ওপর জোর দেন। চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন শর্তসাপেক্ষে হিন্দি সিনেমার আনার পক্ষে মত দেন।

সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ ক্ষোভের সাথে  বলেন, আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিবেন না। যারা হিন্দি সিনেমার বিরোধিতা করছেন তারা ভুলে যাচ্ছেন রাত-দুপুরে তারাও হিন্দি সিনেমা। উর্দু সিনেমা দেখছেন। তারাই এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন।  দ্রুত আমরা এ অবস্থার অবসান দাবি করছি। নয়তো হল মালিকরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিবে। প্রয়োজনে সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে।

এনবিএস/ওডে/সি

news