ধর্মঘটে হলিউডের ১১,৫০০ চিত্রনাট্য লেখক

সম্মানী বাড়ানোর দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে চিত্রনাট্য লেখকরা তাদের ল্যাপটপ অফ করে দিয়েছেন। এতে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের চলমান এপিসোড এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান থেমে গেছে। কোনো কোনো চ্যানেল এয়ারটাইম ঠিক রাখার জন্য পুরনো অনুষ্ঠান পুনঃপ্রচার করছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাইটার গিল্ড অব আমেরিকা’ (ডব্লিউজিএ)-র উল্লিখিত সদস্যরা নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলসে ছোটখাটো মিছিল করে। তারা চিত্রনাট্য লেখা পুরোপুরি বন্ধ রেখেছেন। গত ১৫ বছরে হলিউডে এই প্রথম লেখকরা লেখা বন্ধ করলেন। এর আগে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে এই ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ধর্মঘট চলেছিল ১০০ দিন।

ধর্মঘট শুরু করার আগে তারা প্রোডাকশন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই তারা ধর্মঘট শুরু করেছেন।

প্যারামাউন্ট ষ্টুডিওর সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় ড্যানিয়েল টলবট (৪৫) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের চাওয়া একেবারেই ন্যায্য। কিন্তু ষ্টুডিওগুলো আমাদের নিয়ে রসিকতা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করছি।’

ওয়াল্ট ডিজনি কো (ডিআইএস.এন), নেটফ্লিক্স ইনক (এনএফএলএক্স.ও) এবং অন্যান্য স্টুডিওগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল বলেছে, তারা একটি গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো পক্ষই  সোমবার শেষ মুহূর্তের আলোচনা পর্যন্ত কোনো চুক্তিতে পৌঁছুতে পারেনি।

ধর্মঘটে শামিল হওয়া চিত্রনাট্য লেখকদের সমর্থনে রয়েছেন কয়েকজন অভিনয় শিল্পীও। লেখক ও অভিনেতা জন ওয়েন লাউইর পিতা রব লাউই বলেছেন, ‘আমি লেখকদের সমর্থন করি। কারণ তারা যা লিখে দেয়, সেটাই হয় আমাদের চরিত্র।’

নিউইয়র্কের ডব্লিউজিএ সদস্যরা শ্লোগান দিয়ে বলেছে, ‘লেখক নেই, টেলিভিশনও নেই।’ তারা শ্লোগান দিচ্ছিলেন কমকাস্ট কর্পোরেশনের স্ট্রিমিং সার্ভিস পিককের সামনে। এখানে রয়েছে তিনটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাও।

ইতোমধ্যেই জিম্মি ফেলন অভিনীত ‘জিম্মি কিম্মেল লাইভ’-এর নতুন কোনো এপিসোড দেখানো যাচ্ছে না। ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। ‘এব্বোট ইলিমেন্টারির’ তৃতীয় পর্বের যাত্রা সীমা কমিয়ে আনা হচ্ছে। শুধু ধর্মঘট হওয়া সত্ত্বেও ফক্সনিউজের ‘গাটফেল্ড’ চলমান থাকবে।  

সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ডব্লিউজিএ জানিয়েছে, সংগঠনটি সর্বসম্মতভাবে স্টুডিওগুলোর বিরুদ্ধে ধর্মঘটকে সমর্থন করছে। ‘কোম্পানিগুলোর আচরণ ইউনিয়ন কর্মীদের মধ্যে একটি গিগ অর্থনীতি তৈরি করেছে।’

হলিউড রিপোর্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গিল্ড বেতনের পরিবর্তন চাইছে এবং অন্যান্য প্রস্তাবগুলির মধ্যে লেখকদের কাজ স্ট্রিম করার সময় ক্ষতিপূরণ চাইছে। ডব্লিউজিএ’র হিসাব মতো পরিবর্তনের জন্য বছরে প্রায় ৪২৯ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news