কাঁপছে নিউজরুম, মৃত্যু বুঝি সামনেই! তবু শান্তভাবে খবর পড়ছেন অ্যাঙ্কর, ভিডিও দেখে হতবাক বিশ্ব

 মাটি কাঁপছে, কাঁপছে দেশ, দুলে চলেছে সামনের ক্যামেরা, ঝাঁকুনি ছড়িয়ে পড়ছে নিউজরুমে (earthquake)। সহকর্মীরা ছুটে বেরিয়ে যাচ্ছেন স্টুডিও থেকে কিন্তু সংবাদ চলছে। অবিচল স্থৈর্যে ভূমিকম্পের সংবাদ জানিয়ে চলেছেন সংবাদ পাঠক (TV anchor)। গোটা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়ে চলেছে টিভির পর্দায়।

এমনই বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলেন আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মানুষ, যাঁরা সেই সময় টিভির পর্দায় চোখ রাখার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন। পরে পাকিস্তানের এক সাংবাদিকের পোস্ট করা ভিডিও দেখে বিস্মিত হলেন বিশ্বের অন্য প্রান্তের নাগরিকেরাও।

ভিডিওটি শেয়ার করে পাকিস্তানের সেই সাংবাদিক লিখেছেন, স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেল মাশরিক, যার সরাসরি সম্প্রচারের সময় বোঝা গেছে ভূমিকম্পের অভিঘাত আর দেখা গেছে টিভি অ্যাংকরের শান্ত ও সংযমী চরিত্র।


মঙ্গলবার আফগানিস্তানের মাটি কেঁপে ওঠে তীব্র ভূমিকম্পে। এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল হিন্দুকুশ পার্বত্য এলাকা। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সংখ্যাই প্রমাণ করে দেয় গোটা দেশ জুড়ে কীভাবে কম্পন ছড়িয়ে পড়েছিল। এই খবর ব্রেক করছিল মাশরিক টিভি, দর্শকদের কাছে সেই বিপর্যয়ের সংবাদ জানানোর দায়িত্বে ছিলেন যে সংবাদ পাঠক তিনিও দুলছিলেন, আসন্ন বিপদের আশংকা তাঁকেও গ্রাস করেছিল নিশ্চিত কিন্তু সেটা তিনি এক মুহূর্তের জন্যও বুঝতে দেননি। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই টিভি অ্যাংকরের এই সাহস ও ধৈর্য দেখে প্রশংসা করেছেন দেদার।

মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের রেশ ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানেও। ইসলামাবাদ, লাহোর এবং পেশোয়ারে কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভারতের দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, এমনকি রাজস্থানেও এর রেশ পৌঁছয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরগুলির নাগরিকেরা। ভূপৃষ্ঠের ১৫৬ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পে উৎসস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৫।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২৩ /একে

news