ঝড়ের দিকে নৌকো বাওয়ার ডাক! রাজনীতির সমুদ্রে অর্জুন যেন মাঝি
নির্মলেন্দু চৌধুরীর সেই গানটা মনে পড়ে? সুজন মাঝি রে, কোন ঘাটে লাগাইবা তোমার নাও! এখন প্রশ্ন অর্জুন (Arjun Singh) মাঝি কী করবেন। কোন ঘাটে ভেরাবেন তাঁর নৌকো!
উল্টো স্রোতে তরী বোধহয় আর বাইতে পারছেন না ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শনিবার বিকেলে সবার আগে দ্য ওয়ালে লেখা হয়েছিল, রবিবার অর্জুনের তৃণমূলে ফেরার মাহেন্দ্র যোগ রয়েছে। শনিবার সন্ধের আগে থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় অর্জুনের ছবির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত হোর্ডিং লেগে গিয়েছে। যাতে লেখা ওয়েলকাম।
এই মন্থন যখন চলছে তখন সমুদ্রের কথা শোনালেন অর্জুন। রবিবার সকালে ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করে অর্জুন লিখেছেন, “শুনা হ্যায় আজ সমুন্দর কো খুদপে গুমান অয়া হে/
উধার হি লে চলো কশতি, যাহা তুফান আয়া হে…! “
অনেকের মতে এ শুধু অর্জুন শায়েরী লেখেননি। অন্য ইঙ্গিতও দিতে চেয়েছেন। তা হল, ঝড়ের উল্টো দিকে নৌকো বাওয়া মানে বিপদ। মাঝ সমুদ্রে ডুবতে হতে পারে। তার চেয়ে ভাল, যেদিকে ঝড় সেদিকেই নৌকো নিয়ে চলা।
সাম্প্রতিক সময়ে অর্জুন যে সুরে কথা বলছেন তাতে তাল যে কাটছিল বোঝাই যাচ্ছিল। পাট নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধংদেহি মেজাজে নেমেছিলেন অর্জুন। চিঠি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন যৌথ আন্দোলন চান। প্লাস্টিক লবিকে তুষ্ট করতে পাট শিল্পকে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র।
এসবের মধ্যে জল্পনা বাড়ছিল। রবিবার সকালে অর্জুনের জোড়া টুইট তাতে আরও অক্সিজেন দিল। অন্য একটি টুইটে অর্জুন লিখেছেন, “কাভি আপনে ভি অন্দর দেখ, আপনে ভি তলাশি লে,
মেরি বুনিয়াদ কা এক এক পত্থর দেখনেওয়ালে।’
একথা ঠিক একটা সময় অর্জুন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে প্রতাপশালী নেতা ছিলেন। উনিশের ভোটে সেই দাপটেই জয় পেয়েছিলেন বিজেপির টিকিটে। কিন্তু একুশের ভোট, তারপর পুরসভা ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট– অর্জুনের সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপের রেখাচিত্র নিম্নগামী।
এখন দেখার অর্জুন তাঁর নৌকো নিয়ে কোন ঘাটে যান। কালীঘাট কি না! খরব দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে