১২০০ কেজির পাথর তুলেছিলেন! চমকে দিয়েছিলেন ব্রুস লি’কেও, গুগল ডুডলে কে এই পালোয়ান

 আধুনিক যুগে পালোয়ানির ভাষা পাল্টে গেলেও কয়েক দশক আগে পর্যন্ত এই পালোয়ানি ধরা দিত অন্য রূপে। সিন্থেটিক ম্যাটের ওপর নয়, মাটিতে লড়াই চলত। এখনও গ্রাম গঞ্জে সেই রেওয়াজ আছে। তবে মাটির বুকে কুস্তিগিরি করার গল্প যে একেবারেই আলাদা তা আজও শোনা যায় বহু প্রবীণ মানুষের গলায়। সেই গল্পে অনেক সময়েই উঠে এসেছে একটি নাম। তা হল গামা পালোয়ান (Gama Pehlwan)। পরাধীন ভারতের অন্যতম বিখ্যাত কুস্তিগীরের জন্ম বার্ষিকী পালন করছে গুগল ডুডল (Google Doodle)।

এখনকার প্রজন্ম অনেকেই এই নামটার সঙ্গে পরিচিত নন। কেউ কেউ আবার নাম শুনলেও কে তিনি জানেন না। তবে বয়স্কদের কাছে কান পাতলেই শোনা যায় গামা পালোয়ানের এমন সব কীর্তির কথা, যা শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে। গামা পালোয়ানের কায়দা, কৌশল দেখে চমকে গিয়েছিলেন স্বয়ং ব্রুস লিও। শোনা যায়, নিজের প্রশিক্ষণ রুটিনে গামা পালোয়ানের নানা কৌশল অন্তর্ভুক্ত করেছিলন ব্রুস লি।

 গামা পালোয়ানের আসল নাম গোলাম মোহাম্মদ বকশ বাট। ১৮৭৮ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসরের জাবোয়াল গ্রামের এক কাশ্মীরি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৫২ বছর যুক্ত ছিলেন কুস্তিগিরিতে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, কখনও হারেননি তিনি! মাত্র ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির গামার কাছে হারতে হয়েছিল তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রহিম বখশ সুলতানিওয়ালাকেও। চারবার তাঁরা মুখোমুখি হয়েছিলেন। প্রথম তিন ম্যাচ ড্র হলেও শেষ ম্যাচে বাজিমাত করেন গামা পালোয়ান।

১৯১০ সালে ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট খেতাব যেতেন গামা পালোয়ান। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই নিজেকে এমনভাবে তৈরি করেছিলেন যা এক কথায় অভাবনীয়। ৫০০ বার ডন বৈঠক ও পুশ আপ ছিল তাঁর রোজনামচা। ১৯৮৮ সালে একটি বিশ্ব ব্যাপী অনুষ্ঠিত ডন বৈঠক প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা জুটেছিল গামার মুকুটে।

গামার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের মধ্যে একটি হল ১৯০২ সালে ১,২০০-কেজির পাথর উত্তোলন! সেই পাথরটি এখন বরোদা মিউজিয়ামে রাখা আছে বলে শোনা যায়। এমনকি প্রিন্স অফ ওয়েলস গামাকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি রুপোর গদা উপহার দিয়েছিলেন। খরব দ্য ওয়ালের  /এনবিএস/২০২২/একে

news