কোন গরু কার? মামলা চলছে আদালতে, এদিকে তাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ

 গরুদের মারপিট (Cow fight) ! ঠিকই পড়েছেন, কোতুলপুর (kotulpur) থানার পুলিশের এখন সামলাতে হচ্ছে গরুদের ঝামেলা! চোর, ডাকাত, খুনি ছেড়ে গরুদের নিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড় তাঁদের। পুলিশদের অবস্থা এখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’!

কিন্তু কেন? ঘটনাটা আসলে একটু অন্যরকম। দিন কয়েক আগে কোতুলপুরের রাইবাঘিনিতে ডাম্পারের ধাক্কায় লরি উল্টে ১৩টি গরু মারা যায়। বেঁচে যায় ৩৭ টি। এখন তাদের নিয়েই অবস্থা কাহিল পুলিশের। আসলে, এই দুর্ঘটনার মামলা চলছে আদালতে। তাই বেঁচে যাওয়া গরুদের মালিকানা আদালতের।

তাই যতদিন মামলা শেষ হচ্ছে না ততদিন গরুগুলির দায়িত্ব পুলিশের কাঁধেই। থানায় চোর ডাকাত খুনিদের রাখার লকআপ আছে কিন্তু গরু রাখার জায়গা নেই! তাই থানার সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে পুলিশকে। খাওয়ানো-স্নান করানো সবই এখন পুলিশের দায়িত্ব।

শুধু কি তাই। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা, গুঁতোগুঁতি তো লেগেই আছে। কখন এ ওকে তেড়ে যাচ্ছে, কখনও সিং দিয়ে মারামারি। আর সবটাই সামলাতে হচ্ছে পুলিশকে। যা নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।

আসলে গরুগুলি এখনও নিজেদের মধ্যে সেভাবে বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি। হাট থেকে কেনা গরু একে অপরের অচেনা তাই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই আছে। কোতুলপুর থানার দায়িত্বে থাকা রামনারায়ণ পাল বলেন, বিচারাধীন গোরুগুলিকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য লোক রাখা হয়েছে। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যতদিন না এনিয়ে আদালতের রায় হাতে আসছে, ততদিন পর্যন্ত গরুগুলি সেখানেই থাকবে।

গরু কেনার প্রমাণপত্র দিতে পারলে তবেই মালিকপক্ষ গরু পাবেন। কিন্তু যতদিন না সেই প্রমাণ দিতে পারছেন ততদিন গরুগুলির পরিচর্যার দায়ভারও পুলিশের হাতেই। তাই পুলিশ চাইছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news