কেন্দ্রের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই, একুশের মঞ্চের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে হুঙ্কার মমতার

 ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে (2021 Assembly Election) বিপুল জয়ের পর এই প্রথম শহিদ দিবসের সমাবেশ। সেই সমাবেশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাবেন, সেটা আন্দাজ করাই যাচ্ছিল। বুধবার তৃণমূল (TMC) নেত্রী নিজেই সেই সুর বেঁধে দিলেন। বলে দিলেন, একুশের এই মঞ্চ যেমন মা-মাটি-মানুষকে সম্মান জানানোর মঞ্চ, তেমনই কেন্দ্রের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মঞ্চ।

একুশের বিধানসভায় বিপুল জয়ের পর থেকেই জাতীয় স্তরে শক্তি বাড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে সংগঠন গড়ে তুলেছে তৃণমূল। একাধিক রাজ্যে বিজেপির (BJP) প্রধান চ্যালেঞ্জার হিসাবে উঠে আসছে এরাজ্যের শাসকদল। বস্তুত রাজ্যের বাইরে তৃণমূলের বিপুল শক্তিবৃদ্ধির পর একুশের মঞ্চ থেকে মমতা কী বার্তা দেন, সেটা জাতীয় রাজনীতিতেও ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। 
দু’বছর করোনার জন্য একুশের সমাবেশ করতে হয়েছে ভারচুয়ালি। দু’বছর বাদের এই সমাবেশে বিপুল জনসমাগম হবে সেটা বলাই বাহুল্য। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এবছরের সমাগমে রেকর্ড জনসমাগম হবে। খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছেন, এবছর মানুষের মধ্যে শহিদ দিবস নিয়ে যে আবেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা আগের বছরগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই সভার প্রস্তুতিতে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কর্মীদের থাকাখাওয়ার বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখেছেন। এদিন বিকেলে খোদ তৃণমূল নেত্রীও গিয়েছিলেন সভামঞ্চ পরিদর্শনে। সভামঞ্চের কাছে বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পর মমতা শহরবাসীর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানিয়েছেন,”ঘটনাটা যেহেতু ধর্মতলায় হয়েছিল, তাই এখানেই সভাটা করতে হয়। ৩০ বছর ধরে এটা হয়ে আসছে। কালকের দিনটা শহরবাসীর একটু অসুবিধা হবে। একটু ভিড় হবে, যানজট হবে। তাই আগে থেকে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” সেই সঙ্গে সমাবেশে আসা কর্মীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, জেলা নেতৃত্বকে সেটাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে

news