সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা অনুব্রত, বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ‘সিবিআই’-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ওই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি ও তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য অনুব্রত মণ্ডলকে তার বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় সিবিআই।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে প্রকাশ-  দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে আজ বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত একমাসের মধ্যে প্রথম সারির দু’জন নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল ভিন্ন ভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হলেন। ওই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, চোরেরা জেলে। তৃণমূলের গোটা দলটাই চোর। এটা একটা চেইন বিজনেস। এই শৃঙ্খলের উপরই দলটা চলে।’

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ বাংলার রাজনীতির স্বার্থে এ ধরনের নেতাদের শাস্তি পাওয়া দরকার। তার যে দাম্ভিকতা, যে কথাবার্তা, তাতে শাস্তি পেতেই হতো। তৃণমূলের খেলা শেষ হয়ে এসেছে।’

সিপিএমের সিনিয়র নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আইনি পথে গ্রেফতারিটাই সঠিক পদক্ষেপ। আর কোনও উপায় ছিল না। এবার বড় মাথাদের দিকে এগোনো উচিত। 

সিপিএমের আরেক নেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করে বলেছেন, ‘অনুব্রতর খুঁটি ছিলেন মমতা। বারবার তার পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন তিনি কোথায়? আমি মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছি।’ 

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,  যারা অন্যায় করবেন, তারাই শাস্তি পাবেন। দলে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। 

তৃণমূলের সিনিয়র নেতা অধ্যাপক সৌগত রায় এমপি অবশ্য বলেছেন, ‘সমন এড়াতেই পারে। জিজ্ঞাসাবাদ করুক, ঠিক আছে। কিন্তু একটা অসুস্থ মানুষকে এভাবে জোর করে নিয়ে যাওয়া ঠিক নয়।’ 

‘অনুব্রতকে সিবিআই ডাকছিল, ওর শরীর খারাপের জন্য যেতে পারেনি। এখন গ্রেফতার করেছে, ব্যাপারটা আইনে চলে গেল। অনুব্রতর আইনজীবীরা এ নিয়ে লড়বে। অনুব্রত আমাদের দলের ভালো সংগঠক ছিল’ বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূলের সিনিয়র নেতা অধ্যাপক সৌগত রায় এমপি। খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news