প্রকাশ্যে দলের সমালোচনার শাস্তি! তৃণমূলের রাজ্যসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ জহর সরকার

প্রকাশ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তৃণমূলের সমালোচনা করার জের! এবার শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন জহর সরকার। সূত্রের খবর, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে জহরকে। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির অ্যাডমিন ডেরেক ও ব্রায়েন। মোট সদস্য ১৩ জন সাংসদ। তাদের মধ্যে ছিলেন জহরও। সূত্রের খবর তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি সংবাদমাধ‌্যমের সামনে পার্থ-অর্পিতা কাণ্ড নিয়ে দলের পক্ষে অস্বস্তিকর কিছু মন্তব‌্য করেন প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার (Jawhar Sarkar)। বলেছিলেন, ‘‘যখন টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরোতে পারে! কল্পনার অতীত। এমন দুর্নীতির সিন টিভিতে কম দেখা যায়। কেমন যেমন গা শিরশির করছে।’’ পাশাপাশি ‘দলের একটা দিক পচে গিয়েছে’ এবং ‘এমন দল নিয়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করা যাবে না’ বলেও মন্তব‌্য করেন।

 

প্রকাশ্যে জহরের এই মন্তব্যে স্বভাবতই দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। সৌগত রায়, তাপস রায়ের মতো নেতারা তাঁকে পালটা তোপ দাগেন। ঠিক তার পরই দলের রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হল প্রাক্তন এই আমলাকে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের (TMC) তরফে নাকি তাঁর কাছে বার্তাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি সসম্মানে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কিন্তু তাতেও রাজি হননি জহর। সেকারণেই এই পদক্ষেপ।

 

তৃণমূল সূত্রের দাবি, আইএএস (IAS) হিসাবে কর্মজীবন শেষ করার পর মোদি সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছিল জহর সরকারকে। তীব্র ভাষায় মোদি সরকারকে আক্রমণও করতেন তিনি। সেটা দেখেই তাঁকে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন খোদ দলনেত্রী। কিন্তু প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা করে তিনি নেত্রীর বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন বলেই মনে করছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের বক্তব্য তাঁর কিছু বলার থাকলে দলের অন্দরেই বলতে পারতেন।

news