মোদি জমানায় সিবিআইয়ের স্ক্যানারে থাকা নেতাদের ৯৫ শতাংশই বিরোধী শিবিরের! প্রকাশ্যে তথ্য

 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জমানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে (CBI) বিরোধী দলের নেতাদের কণ্ঠরোধে করতে ব‌্যবহার করা হচ্ছে। বিরোধীদের এই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর পড়ল একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের তদন্তমূলক অনুসন্ধান রিপোর্টে।

ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, গত ১৮ বছরে কংগ্রেস (Congress) আমলে বা বিজেপি জমানায়, ২০০-র বেশি রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারি, তাঁদের বাড়িতে হানা, জেরা ইত্যাদি করেছে সিবিআই। তার মধ্যে ৮০ শতাংশই বিরোধী দলের। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (UPA) আমলে দশ বছরে (২০০৪-২০১৪) অন্তত ৭২ জন নেতা ছিলেন সিবিআইয়ের নজরে। তার মধ্যে ৪৩ জন (৬০ শতাংশ) বিরোধী পক্ষের। ২৯ জন ছিলেন কংগ্রেসের বা শরিক দলের (DMK)।

আর মোদির নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় এনডিএ (NDA) আমলে গত আট বছরে অন্তত ১২৪ জন দাপুটে বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে সিবিআই। যার মধ্যে ১১৮ জনই বিরোধী পক্ষের। যা প্রায় ৯৫ শতাংশের মতো। বিরোধী নেতা-নেত্রীদের মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি র‍্যাডারে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। এরাজ্যের শাসকদলের ৩০ জন নেতা এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার র‍্যাডারে। তার পরই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। কংগ্রেসের ২৬ নেতার বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। আরজেডি এবং বিজেডির ১০ জন রয়েছেন তালিকায়।

উলটোদিকে, বিজেপির (BJP) মাত্র ৬ জন। আর বিরোধী কেউ বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ধাপাচাপা পড়ে যাচ্ছে। প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “আসলে বাংলায় হারাটা ওরা ভুলতে পারছে না। জিততে পারেনি বলে হিংসা থেকে এসব করছে। এটুকুই তো আমরা বলেছি যে, সিবিআই-ইডি নিরপেক্ষ হোক। এবং আমরা পার্লামেন্টে প্রস্তাব এনেছিলাম সিবিআাইকে লোকপালের অধীনে দিয়ে দাও।” সিবিআই কর্তাদের দাবি, বিষয়টি কাকতালীয় ছাড়া কিছুই নয়।

সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে

news