মমতা এবিজিকে পাত্তা না দিয়ে ঠিকই করেছিলেন? ঋষি আগরওয়ালকে গ্রেফতার করল সিবিআই

 এবিজি (ABG group) কোম্পানির কথা মনে পড়ে? বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তখন সবে ক্ষমতায় এসেছে। তার পর পরই আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ দেখিয়ে এবিজি গোষ্ঠী জানিয়ে দিয়েছিল, যে তারা হলদিয়া থেকে তাদের অপারেশন গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার সেই এবিজি কর্তা তথা এবিজি শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান (ABG founder chairman) ঋষি কমলেশ আগরওয়ালকে (Rishi Kamalesh Agarwal) প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (bank fraud) অভিযোগে গ্রেফতার (arrest) করল সিবিআই (CBI)।

ভারতীয় ফৌজদারি আইন ও দুর্নীতি দমন আইনের ধারায় জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের লিপ্ত থাকার ঘটনায় ঋষি আগরওয়াল সহ কোম্পানির এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে সিবিআই।

হলদিয়া বন্দরে হ্যান্ডলিংয়ের কাজের জন্য এবিজি শিপইয়ার্ড বরাত পেয়েছিল। তার পর ২০১২ সাল নাগাদ হঠাৎই তারা অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিল যে হলদিয়া বন্দরের কাজে রাজনৈতিক নাক গলানো চলছে। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ ছিল হলদিয়ায় আইন শৃঙ্খলার সমস্যা রয়েছে ও তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এ কথা বলে হলদিয়া থেকে কাজ গুটোনোর কথা ঘোষণা করেছিল এবিজি। তা নিয়ে বাংলায় তীব্র রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছিল। এমনকি তৎকালীন বিরোধীরা কেউ কেউ সেই সময়কার তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিলকে তাল করা হচ্ছে। যা বলা হচ্ছে, ততটা খারাপ পরিস্থিতি মোটেও নয়। এবিজির অভিযোগকে পাত্তাও দিতে চাননি তিনি।
বহুজাতিক অডিট সংস্থা আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংয়ের নিরীক্ষা জানিয়েছে, বস্তুত ওই সময় থেকেই অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন এবিজির কর্ণধার ঋষি আগরওয়াল। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাঁরা নানারকম আর্থিক জালিয়াতি চালিয়ে গিয়েছেন। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে ওই কোম্পানিকে ২৮ টি ব্যাঙ্ক ঋণ মঞ্জুর করেছিল। তার মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়েছিল ২৪৬৮.৫১ কোটি টাকা।কিন্তু যে উদ্দেশে সেই ঋণ নেওয়া হয় সেজন্য তা ব্যবহার করা হয়নি। তা অন্য খাতে ঘোরানো হয়। পরে ২০১৬ সালে ওই ঋণ অ্যাকাউন্ট অনাদায়ী বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৯ সালে জালিয়াতি ধরা পড়ে।

খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news