তিনবার রিভিউ পিটিশন খারিজে নজির ডিএ মামলার, স্বস্তি মিলবে কি সুপ্রিম কোর্টে

 ডিএ মামলার (DA Case) বুধবারের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সর্বোচ্চ আদালত থেকে রাজ্য সরকার যাতে একতরফা কোনও রায় আদায় করতে না পারে সেজন্য আজই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট করেছে মামলাকারী একটি কর্মচারী সংগঠন।
কিন্তু রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কোনও লাভ হবে কিনা তা নিয়েই সরকারি মহলেও সংশয় আছে।

কারণ, রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন (Review Petition) মোট তিনবার খারিজ হয়েছে। এর মধ্যে স্যাট বা রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল একবার খারিজ করেছে। এছাড়া দু’বার দুটি ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করেছে সরকারের আর্জি।
আজ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, তাদের আগের রায় রিভিউ করার কোনও অবকাশ নেই। কারণ রাজ্য সরকার নতুন কোনও বক্তব্য হাজির করতে পারেনি। আগের রায়ের কোনও আইনি দুর্বলতাও সরকার হাজির করেনি।

আজকের রায়েও বিগত রায় দুটির প্রসঙ্গ টেনে এনে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ বহাল রেখেছে। ফলে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা আশায় বুক বেঁধেছেন, শেষ বাধা পেরতে চলেছেন তারা।
এই পরিস্থিতিতে সময় কেনা ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সুবিধা আদায় করতে পারবে কিনা তা নিয়ে নবান্নের কর্তাদের মধ্যেও সংশয় আছে।

কেন এই সংশয়? সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার আদালতে বারে বারে দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের হারে তারা মহার্ঘ ভাতা দিতে বাধ্য নয়। কিন্তু মামলাকারীরা নথিপত্র দিয়ে দেখিয়েছেন, অতীতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিয়েছে। অর্থাৎ এখন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়া বর্তমান রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। মামলকারীদের দাবি, মহার্ঘ ভাতা এমন একটি সুবিধা যা কোনও রাজ্য সরকার মাঝপথে বন্ধ করে দিতে পারে না। স্বভাবতই সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ডিএ মামলায় হাইকোর্টের রায় উল্টে দেওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে সরকারি মহলও সন্দিহান।

খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news