কেরালায় ‘পিএফআই’য়ের ডাকা বনধে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা, ব্যাপক পুলিশি ধরপাকড়

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর ৯৩ টি জায়গায়  জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘এনআইএ’ তল্লাশি ও গ্রেফতারির বিরুদ্ধে  ‘পিএফআই’য়ের  ডাকা কেরালা বনধে বিক্ষিপ্ত সহিংস ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় এপর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

‘এনআইএ’  রেইডের বিরোধিতাকারী ‘পিএফআই’ সংগঠনের কর্মীরা আজ (শুক্রবার) হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। এ সময়ে তারা রাজধানী তিরুবনন্তপুরম এবং কোয়াট্টমে বেশ কিছু সরকারি বাস ও যানবাহন ভাঙচুর করেছে। এ সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৭০ টি বাসে ভাঙচুর করা হয়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে প্রকাশ,  কান্নুরের মাট্টানুরে ‘আরএসএস’ দফতরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে কোনো হতাহতের খবর নেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে। পুলিশ জানায়, কোল্লামে মোটরসাইকেল আরোহী পিএফআই কর্মীরা দুই পুলিশ সদস্যকে আক্রমণ করে। তিরুবনন্তপুরমে সহিংসতা সৃষ্টিকারী ৫ ‘পিএফআই’ কর্মী পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। 

এদিকে, কেরালা হাইকোর্ট রাজ্যব্যাপী বনধ ডাকার জন্য পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) নেতাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কেরালা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া কেউ বনধ ডাকতে পারবে না। আদালত আদেশে আরও জানায়, গ্রেফতারের পর এ ধরনের বিক্ষোভ ঠিক নয়। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ‘ভারত জোড়ো’ পদযাত্রা কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে কংগ্রেস। এ নিয়ে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে, ‘পিএফআই’ এবং ইসলামিক জিহাদি সংগঠনগুলো আজ হরতাল ডেকেছে এবং কংগ্রেস তাদের পদযাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে, এরচেয়ে খারাপ ও লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না।      

গতকাল (বৃহস্পতিবার), জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘ এনআইএ’ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ‘ইডি’ উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, অসম, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, উড়িষ্যা এবং রাজস্থানে তল্লাশি অভিযান চালায়। ওই অভিযানে তিনশোর বেশি ‘এনআইএ’ কর্মকর্তা শামিল ছিলেন। এ সময় তদন্তকারী সংস্থা ১০৬ জন ‘পিএফআই’ কর্মীকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ কেরালা বনধের ডাক দেওয়া হয়। 

‘এনআইএ’ কর্মকর্তা সূত্রে প্রকাশ,  কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু এবং হায়দরাবাদে  সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়াতে প্রচুর পরিমাণে সন্ত্রাসী অর্থায়ন করা হয়েছে। লিঙ্ক চেক করার পর ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।

খবর পার্সটুডে /এনবিএস/২০২২/একে

news