বিদেশি অস্ত্র, বিদেশি পদ্ধতিতে আমাদের নির্ভরতা কম হওয়া উচিত: মোদী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বিদেশি অস্ত্র, বিদেশি পদ্ধতিতে আমাদের নির্ভরতা কম হওয়া উচিত। তিনি আজ (সোমবার) সকালে জম্মু-কাশ্মীরের কারগিল পৌঁছে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উৎসব উদযাপন করার সময়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন।

এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন সেনা জওয়ানরা তার পরিবার। তিনি তাদের সাথে দীপাবলি উদযাপন করতে পছন্দ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ‘আত্মনির্ভর ভারত’। ভারতীয় সেনার কাছে আধুনিক স্বদেশী অস্ত্র আছে, বিদেশি অস্ত্র, বিদেশি পদ্ধতিতে আমাদের নির্ভরতা নূন্যতম হওয়া উচিত। এজন্য তিন বাহিনীর সেনারা  আত্মনির্ভরতার সংকল্প গ্রহণ করেছে। আমি প্রশংসা করছি তিন বাহিনীর সেনাদের যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, চারশোর বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবার বিদেশ থেকে কেনা হবে না। চারশো অস্ত্র ভারতেই তৈরি হবে। ভারতের সমর্থ বাড়বে। এর আরও একটি বড় লাভ হবে, যখন  ভারতীয় জওয়ানরা দেশীয় অস্ত্রের সাহায্যে লড়াই করবে তাদের বিশ্বাস চরমে থাকবে। তাদের হামলায় শ্রত্রুদের জন্য বিস্ময়কর উপাদান হবে। এবং শত্রুদের মনোবল গুঁড়িয়ে যাবে।’    


সকালে জম্মু-কাশ্মীরের কারগিল পৌঁছে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উৎসব উদযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 
সেনাদের জন্য দীপাবলির অর্থ বর্ণনা করে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাস্তবে দীপাবলির সারমর্ম হল সন্ত্রাসের অবসান হওয়া উচিত এবং তারপরে এর উদযাপন করা উচিত। কারগিল যুদ্ধের সময়ও সেনারা একইভাবে সন্ত্রাসের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘কোনও জাতি তখনই নিজেকে নিরাপদ বলতে পারে যখন তার সীমান্ত নিরাপদ থাকে, যখন তার অর্থনীতি শক্তিশালী হয় এবং যখন দরিদ্ররা তাদের নিজস্ব ঘর পায়, প্রত্যেকটি সুবিধা পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ‘ইসরো’ ব্রডব্যান্ড প্রসারিত করেছে এবং একসাথে মহাকাশে ৩৬ টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। গত আট বছরে দেশের অর্থনীতিও দশম অবস্থান থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। এই সাফল্য সবাইকে গর্বিত হওয়ার সুযোগ দেয়।’  


সকালে জম্মু-কাশ্মীরের কারগিল পৌঁছে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উৎসব উদযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে জোর দেন যে গত কয়েক বছরে সেনাবাহিনীর উন্নতির জন্য অনেক সংস্কার করা হয়েছে। ভালো সমন্বয়ের জন্য ‘সিডিএস’ তৈরি করা হোক বা সীমান্তে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক। শত্রুপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি এমনও বলেন কেউ যদি আমাদের দিকে তাকায়, তাহলে আমাদের তিনবাহিনী একই ভাষায় উপযুক্ত জবাব দেবে। তাকে পরাজিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শেষে একটি শক্তিশালী কবিতাও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে সেনা জওয়ানদের উৎসাহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী গত আট বছর ধরে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে  দীপাবলির উৎসব পালন করে আসছেন। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি সর্বদা সেনা জওয়ানদের সাথে দীপাবলি উৎসব উদযাপন করেন। এবারও সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপনের সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে জম্মু-কাশ্মীরের কারগিল দ্রাসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news