সংখ্যালঘুকে প্রধানমন্ত্রী বাছল ব্রিটেন, ভারত ব্যস্ত সিএএ নিয়ে,’ মেহবুবার টুইট ঘিরে বিতর্ক


 সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টানের দেশ ব্রিটেন এক সংখ্যালঘুকে সে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী (PM of UK) হিসাবে বেছে নিয়েছে। তিনি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে একশোভাগ হিন্দু। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti) আজ এই তথ্যকে হাতিয়ার করে নাম না করে দেশের শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছেন। টুইটে বলেছেন, ব্রিটেন একজন সংখ্যালঘুকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে চলেছে। এটা আমাদের দেশের জন্যও সুখবর। আর আমরা কিনা এনআরসি, সিএএ-র মতো বিভাজনকারী আইন নিয়ে মেতে আছি।
মেহবুবার এই বক্তব্যের পর তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ পাল্টা টুইটে বলেছেন, মেহবুবাজি আপনার টুইট দেখলাম। আপনি স্পষ্ট করে জানান, জন্মু-কাশ্মীরে একজন সংখ্যালঘুকে আপনি মুখ্যমন্ত্রী পদে মেনে নেবেন তো?
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার আগে জম্মু-কাশ্মীরের রাজারা সকলেই ছিলেন হিন্দু। স্বাধীনতার পর জম্মু-কাশ্মীরের ভারতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর প্রথম শাসকও ছিলেন হিন্দু। তিনি হলেন মেহের চাঁদ মহাজন। মেহের চাঁদ মহাজন বাদে গুলাম মহম্মদ শাদিক থেকে মেহবুবা মুফতি পর্যন্ত বাকি আট মুখ্যমন্ত্রীর সকলেই ছিলেন মুসলিম।  
রবি শঙ্কর প্রসাদের প্রশ্নের জবাবে মেহবুবা বা জম্মু-কাশ্মীরের কোনও নেতাই প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে বিজেপি মেহবুবার বক্তব্যকে খণ্ডন করে দলের তোলা প্রশ্ন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সমাজ মাধ্যমে।
ঋষি সুনক (Rishi Sunak) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর ধর্মীয় পরিচয়কে হাতিয়ার করে বিজেপিকে মেহবুবাই প্রথম আক্রমণ শানান। ঋষি এর আগে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর গীতা ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। ধর্মীয় পরিচয়কে রক্ষা করেই রাজনীতি করেছেন তিনি। ব্রিটেনের রাজনীতিতে বাধা হয়নি তাঁর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়, যা ভারতে সনিয়া গান্ধীর ক্ষেত্রে হয়েছিল।
কংগ্রেস সনিয়াকে নেত্রী হিসাবে গ্রহণ করার পর ঘরে বাইরে বিদেশিনী ইস্যুতে রাজনীতি তুঙ্গে ওঠে। অনেকের মতে, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ও শরিক দলগুলি অনুরোধ করা সত্ত্বেও সনিয়া ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চাননি তাঁর জাতীয়তা এবং ধর্ম পরিচয় নিয়ে রাজনীতি হওয়ার আশঙ্কায়। বদলে, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার এগিয়ে দেন সংখ্যালঘু শিখ ধর্মাবলম্বী মনমোহন সিংহের দিকে।

খবর দ্য ‍ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/এক

news