নন্দকুমারের সমবায় সমিতিতে ‘রাম-বাম’ জোটের জয়! কটাক্ষ তৃণমূলের

বিরোধীদের মুখে চওড়া হাসি। পূর্ব মেদিনীপুরের সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী ‘পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও’ কমিটি। আর এই নির্বাচনের পরই ফের প্রকাশ্যে বাম-রাম জোট তত্ত্ব। বলা হচ্ছে, বাম ও বিজেপি হাত মিলিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। যদিও বামেদের তরফে এই অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। এই রামধনু জোট প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “তৃণমূলকে ঠেকাতে সিপিএম-বিজেপি হাত মেলাচ্ছে। ছোট ছোট নির্বাচনে ওরা হাত মেলালে আমাদের সুবিধা, ওদের বেআব্রু করতে সুবিধা হয়।” সমবায় নির্বাচনে অবশ্য কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে সদস্যরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন না।

রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার-বহরমপুর সমবায় সমিতির ভোটগ্রহণ হয়। এর আগে বামমনস্করাই ৬৩টি আসন বিশিষ্ট এই সমিতি পরিচালনা করতেন। যার মধ্যে ৫২টি আসনে তৃণমূল হিসেবে চিহ্নিত প্রার্থীরা মনোনয়ন দিয়েছিলেন। ২০টি আসনে বিজেপি হিসেবে চিহ্নিত প্রার্থীরা মনোনয়ন দেন। পরে অবশ্য এই সমস্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারও করে নেন তাঁরা। মোট ৫২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় বামমনস্ক পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও কমিটি। বাকি ১১টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। সবক’টিই নিজেদের দখলে রাখে কমিটি। ভোটের ফলপ্রকাশের পর ৬ জন জয়ী পদপ্রার্থী আবার নিজেদের বিজেপি (BJP) বলে দাবি করেছেন। ফলে সমবায় সমিতির ৬৩টি আসন তৃণমূল শূন্য, বিরোধীদের দখলে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে বলেন, “তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। কারণ ওখানে ভুয়ো সদস্যরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। সমবায় দপ্তরের জেলা প্রধানকে চিঠি দিয়েছি। সমবায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১১ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। ভোটটাই আইনবিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাব। আমরা হেরে গেছি এমনটা নয়, বরং ভোটে লড়াই করিনি।”

এদিকে সিপিএম বলছে, ৫৭ টি আসনে জয়লাভ করেছে তারা। বিজেপির আবার দাবি, তাঁদের দখলে ৪৩টি আসন। গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইট করেছেন, “নন্দকুমার ব্লকের চক শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল জয় বিজেপির! ৬৩টি আসনের মধ্যে ৪৩ টিতে জয় বিজেপির।”
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে

news