বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, সংসদে বিরোধীদের তোপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

 বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি মেনে নিলেন, সীমান্ত রক্ষা কেন্দ্রেরই দায়িত্ব। পরক্ষণেই আবার অভিযোগ করে বসলেন, বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সীমান্তরক্ষার দায়িত্ব থাকা এই আধাসেনা বাহিনীকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সম্প্রতি, সীমান্তের রাজ্যগুলিতে বিএসএফের (BSF) কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৩৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার হয়েছে বিএসএফের কাজের পরিধি। তা নিয়ে আপত্তি ছিল তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী দলের। এরাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, বিএসএফ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করছে। আবার বাংলা সীমান্তে গরুপাচার, মাদক পাচারের মতো সমস্যাগুলির জন্যও তৃণমূল-সহ বিরোধীরা বিএসএফকেই দায়ী করে। বিজেপি (BJP) যখনই গরু পাচার বা কয়লা পাচার নিয়ে অভিযোগ করে তখনই তৃণমূলের (TMC) তরফে পালটা বলে দেওয়া হয়, সীমান্তরক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের। সুতরাং পাচার হলে তার দায়ও বিএসএফের।

বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের সেই দাবি মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে পালটা বিরোধীদের পালটা কাঠগড়ায় তুলতেও ছাড়লেন না অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বললেন,”সীমান্তরক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা যখন বিএসএফকে বাড়তি ক্ষমতা দিচ্ছি, তখনই বলছেন রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তাহলে বিএসএফ কাজটা করবে কীভাবে? বিএসএফ মাদক বাজেয়াপ্ত করে, অথচ তাদের মামলা করার অধিকার নেই। যারা বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে রাজনীতি করছে, তাঁরা আসলে মাদক পাচারে উৎসাহ দিচ্ছে।”


কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অতিসক্রিয়তা নিয়েও বারবার কেন্দ্রকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। এদিন সেসব প্রশ্নেরও জবাব দিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফ কথা, এজেন্সিগুলিকে ক্ষমতা না দিলে তারা কাজ করতে পারবে না। এজেন্সিগুলির উপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে।
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে

news