আড়াই মাসে দুই তৃণমূল বিধায়কের আপ্তসহায়ক গ্রেফতার, অভিযোগ সেই প্রতারণার

 প্রথমে চণ্ডীপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর আপ্তসহায়ক সজল মুখোপাধ্যায়। তারপর তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha) আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়াল। আড়াই মাসের মধ্যে দুই তৃণমূল বিধায়কের আপ্তসহায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ। দু’জনের ক্ষেত্রেই অভিযোগ আর্থিক প্রতারণার।
সম্প্রতি তেহট্টের এক ব্যক্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (TMC) চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন, বিধায়ক চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু চাকরির বন্দোবস্ত করে দেননি। এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। বিধায়ক পষ্টাপষ্টি বলেছিলেন, তিনি টাকা নিয়েছেন এমন প্রমাণ দিতে পারলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন।
ওই অভিযোগের পর তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। তারপর বিধায়কের আপ্তসহায়ক প্রবীর ও তাঁর দুই সঙ্গী শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে রায়দিঘি গ্রেফতার করেছে দুর্নীতিদমন শাখা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর আপ্ত-সহায়ক সজলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনি হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।  সোহমের অভিযোগ, আপ্ত-সহায়ক হিসেবে সজলকে তিনি একটি প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন।
কিন্তু সেই গাড়ির কোনও হদিশ নেই। কোথায় গেল সেই গাড়ি, কেউ জানে না। মূলত এর ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সোহম চক্রবর্তী। তাঁর আশঙ্কা ওই গাড়ি হয়তো সকলের অলক্ষ্যে বিক্রি করে দিয়েছেন সজল। শুধু তাই নয়, সজলের বিরুদ্ধে অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। এলাকায় সরকারি চাকরির নাম করে টাকা তুলেছেন তিনি, এমন অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ। গোটা এলাকায় এই সজল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। খবর কানে যেতেই পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন বিধায়ক। খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২

news