যাদবপুরে অর্থ সংকটে প্রশ্নের মুখে বছরে ১০ কোটির বিদ্যুৎ বিল


তীব্র অর্থ সংকটের মুখে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (jadavpur University) উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। গত শনিবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আচার্য-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে স্বাগত ভাষণেও টাকার টানাটানি নিয়ে সরব হন উপাচার্য।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুতের বিল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা এই বাবদ মেটাতে হচ্ছে তার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত একটি কমিটি।
খরচ কমানো এবং আয়ের উৎস সন্ধানে উপাচার্যের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপরিষদ ওই কমিটি গঠন করে। মাস কয়েক আগে উপাচার্য প্রাক্তনীদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিভাগগুলিকে পর্যাপ্ত অর্থ দেওয়া যাচ্ছে না। 
করোনা বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই সতর্কতা, রাজ্যে রাজ্যে শুরু হল ‘মক ড্রিল’
কমিটি খরচখরচার হিসাব নিয়ে জানতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়কে বছরে ১০ কোটি টাকা মেটাতে হয় বিদ্যুতের বিল বাবদ। এই খরচেই চোখ আটকে গিয়েছে কমিটি সদস্যদের। তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছে, এই বাবদ ছয় কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়।
প্রশ্ন উঠেছে তাহলে বাড়তি চার কোটি টাকা মেটাতে হচ্ছে কেন? বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সেখানে বিভিন্ন বিভাগে ঘন্টার পর ঘন্টা এয়ার কন্ডিশন মেশিন চলে। কিছু বিভাগে আলো পাখা বন্ধেরই বালাই নেই।(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); 
তবে এর পরও প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ চুরি হয়ে যাচ্ছে না তো? এই দিনটি খতিয়ে দেখতে কমিটি সুপারিশ করতে চলেছে। এছাড়া কমিটি প্রত্যেক বিভাগের জন্য পৃথক মিটার বসানোর প্রস্তাব দিতে চলেছে। যাতে বিদ্যুৎ বিলের অডিট করা সহজ হয়। কোনও বিল পরিমাণে অস্বাভাবিক মনে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা যায়।


খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news