হয়তো মমতার মধ্যে রামকে দেখতে পায়’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘অপমান’ নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা অভিষেকের

 কেন্দ্র সরকারের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিজেপি কর্মীদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ঘিরে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। তীব্র বিতর্কের মুখে বিজেপির অন্দরেও দেখা দেয় দ্বন্দ্ব। এবার এ নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে এহেন আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক বলেই দাবি তাঁর। পাশাপাশি বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে হয়তো ঈশ্বরকে দেখতে পান বিজেপি কর্মীরা। সেই কারণেই তাঁকে দেখলে এই স্লোগান মুখ থেকে বেরিয়ে আসে।

গত ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া স্টেশনে উদ্বোধন হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express)। যেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পৌঁছতেই বিজেপি কর্মীদের দিক থেকে উড়ে আসে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। যার জেরে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও আর মূল মঞ্চে ওঠেননি ‘অপমানিত’ মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি (BJP) কর্মীদের আচরণের প্রতিবাদ জানান দলেরই সাংসদ (MP) সুভাষ সরকার। তিনি সকলকে শান্ত হওয়ার কথা বলেন। এ নিয়ে দলের অন্দরেও পরবর্তীতে কোন্দল শুরু হয়। এবার এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিলেন অভিষেক।

রবিবার তিলজলায় তৃণমূলের নতুন ভবনের ভিতপুজোয় হাজির হয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, সরকারি মঞ্চে যারা রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করে, তার মানেই ধরে নেওয়া যাক তারা রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া। কোনও দল দেউলিয়া হয়ে গেলেই এধরনের আচরণ করে। তাঁর কথায়, “২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তি ঘটল। এটা লজ্জার। কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে দেখেছেন তৃণমূল জিন্দাবাদ বলতে? বন্দেমাতরম, জয় হিন্দ, জয় বাংলা বলুন। কিন্তু যারা মুখ থুবড়ে পড়েও শেখে না, মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করে, তাদের কী বলা হবে। আমার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই।” এরপরই কটাক্ষের সুরে বলেন, “ওরা হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে ঈশ্বরকে বা রামচন্দ্রকে দেখতে পেয়েছে। তাই জয় শ্রীরাম বলেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে যে শ্রদ্ধা, সম্মান তারা দিয়েছেন, তার জন্য।”

এরপরই বিরোধী দলের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “লড়াই করতে হলে রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করুন। যারা ২০১৯ সালে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলেছিল, তাদের ১১০টাকা দিয়ে পেট্রল, ১২০০ টাকা দিয়ে গ্যাস কিনতে হয়। জয় শ্রীরাম বললে সেই দাম কমে যায় না। তাই মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করুন।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে

news