করোনার এক্সবিবি.১.৫ উপপ্রজাতিও ঢুকেছে ভারতে, বিএফ.৭ এর চেয়ে কি বেশি ভয়ঙ্কর?

 চিনের করোনা (Covid) থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। দু’বছর আগেও চিনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাস। অতিমহামারীর আকার নিয়েছিল। এ বছর ভাইরাসের উপদ্রব কমে এলেও ফের সেই চিন থেকেই নতুন করে করোনার নানা প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ছে ভারত সহ বিশ্বের নানা দেশে। ওমিক্রন বিএফ.৭ নামে করোনার এক উপরূপ সাঙ্ঘাতিক সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, পাশাপাশি করোনার আরও এক উপপ্রজাতি ছড়িয়েছে নানা দেশে। এর নাম কোভিড এক্সবিবি.১.৫ (Covid XBB.1.5)। বিএফ.৭ নাকি এক্সবিবি.১.৫ কে বেশি সংক্রামক নেই নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।
চিন, জাপানের মতো দেশ থেকে ভারতে ঢোকা অনেকের শরীরেই ওমিক্রনের বিএফ.৭ ভ্যারিয়ান্ট চিহ্নিত করা গেছে বলে খবর। তাই দেশের বিমানবন্দরগুলিতে কড়া সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শোনা গেছে, করোনার ওই নতুন উপপ্রজাতি এক্সবিবি.১.৫ (Covid XBB.1.5) ঢুকেছে ভারতে। পাঁচজনের শরীরে খুঁজে পাওয়া গেছে ভাইরাল স্ট্রেন।
বিএফ.৭ না এক্সবিবি.১.৫ কে বেশি ভয়ঙ্কর?
ওমিক্রনের উপপ্রজাতি বিএ.৫ ও বিএ.৫.২.১৭ এর পরিবর্তিত রূপ হল ওমিক্রন বিএফ.৭। এই প্রজাতির সঙ্গে কোভিডের BA.5.2.1.7 প্রজাতির অনেক মিল রয়েছে। এর থেকেই অনুমান করা হয়েছে, কোভিডের ওই প্রজাতির মিউটেশন (Mutation) বা জিনের রাসায়নিক বদল (Genetic Change) হয়ে আরও এক নতুন প্রজাতির জন্ম হয়েছে। 
সিয়াচেনে মোতায়েন হলেন প্রথম মহিলা অফিসার! জেনে নিন তাঁর পরিচয়
ওমিক্রনের বাকি প্রজাতিগুলোর থেকে এটি ৪.৪ গুণ বেশি সংক্রামক। আর চিন্তার ব্যাপার হল, ওমিক্রনের এই উপপ্রজাতি বা সাব-ভ্যারিয়্যান্টকে সহজে ভ্যাকসিন দিয়ে কাবু করা যাবে না। মানুষের শরীরে খুব দ্রুত ছড়াতে পারবে এই প্রজাতি এবং শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার প্রতিরোধ শক্তিকেও ভেঙে দিতে পারবে অল্পদিনের মধ্যেই। 
এক্সবিবি.১.৫ (XBB.1.5) হল করোনার এক্সবিবি (XBB) ভ্যারিয়ান্টের জিনগতভাবে পরিবর্তিত রূপ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিএফ.৭ এর থেকেও বেশি সংক্রামক এই ভাইরাস। ৫৬ শতাংশ বেশি রোগ ছড়াতে পারে। বিএফ.৭ এর চেয়ে এর সংক্রমণের হার প্রায় ১২০ শতাংশ বেশি। খুব তাড়াতাড়ি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষের শরীরে এর সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবডিগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে, ফলে খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমজোরি হয়ে যাবে। 
ভাইরোলজিস্টদের মতে, সংক্রামক ভাইরাস যত বেশি মানুষের শরীরে ছড়াবে, ততই তার জেনেটিক সিকুয়েন্স বা জিনগত বিন্যাসের বদল হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গড়েপিটে নেবে। সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে।

খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২৩/একে
 

news