কালো টাকা সাদা করেছে প্রভাবশালীরা? তথ্যের খোঁজে সিউড়ির সমবায় ব্যাংকে সিবিআই হানা

 জেল হেফাজত শেষে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে পেশের দিনই বীরভূমের সিউড়ির সমবায় ব্যাংকে সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যাংকে চলে তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে খবর, ব্যাংকে ১৫০টি বেনামি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। একই ব্যক্তির সইতে অন্তত ৫০টি অ্যাকাউন্টেরও সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ৩টে। গরু পাচার মামলার মূল তদন্তকারী আধিকারিক-সহ সিবিআই প্রতিনিধি দল বীরভূমের সিউড়ির সমবায় ব্যাংকে হাজির হন। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও বাজেয়াপ্ত করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, কমপক্ষে ১৫০টি বেনামি অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। একজনের সইতে কমপক্ষে ৫০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বাজারে অনাদায়ী ঋণ বেড়ে যাওয়ায় একসময় রিজার্ভ ব্যাংক আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেয়। ২০১৬ সালে ব্যাংক খোলা হয়। শুরু হয় গ্রাহক পরিষেবা। তারপর থেকেই কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে এই ব্যাংককে কাজে লাগানো হয়েছিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।


যদিও আচমকা সমবায় ব্যাংকে সিবিআই হানার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন বর্তমান পরিচালন বোর্ডের চেয়ারম্যান কালীপ্রসাদ ঘোষ। তাঁর দাবি, এটা ব্যাংককে বদনাম করার চক্রান্ত। সমবায় ব্যাংকের বর্তমান ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্ত বলেন, “সিবিআই ব্যাংকে এসে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এর সঙ্গে টাকাপয়সা লেনদেনের কোনও সম্পর্ক নেই।” জেলা তৃণমূল মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যও একইরকম। তাঁর মতে, “যা হয়েছে খাতায় কলমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে হয়েছে। কর্মীরা যুক্ত নন। ব্যাংকের ব্যবসা নষ্ট করার উদ্দেশে সিবিআই হানা।”

এদিকে, গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবারও জামিন পেলেন না অনুব্রত মণ্ডল। আগামী ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।   
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২৩/একে

news