কেতুগ্রামে গা ঢাকা, আইনজীবীর পরামর্শে আত্মসমর্পণ এজলাস থেকে পালানো ধর্ষণ মামলার আসামির

এজলাস থেকে পালানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ ধর্ষণ মামলার আসামি। শনিবার সকালে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পৌঁছয় সে। সঙ্গে ছিলেন তার আইনজীবী নির্মল মণ্ডল। এরপর তার সাজাও ঘোষণা করেন বিচারক।

ধর্ষণে অভিযুক্ত পলাতক আসামি জিতেন মাঝি, কেতুগ্রামের ছোট পুরুল গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে সে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের তরফে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় জিতেন। মাসদেড়েক জেলও খাটতে হয় তাকে। যদিও পরে জামিনে মুক্তি পায় সে। তবে ধর্ষণের মামলার শুনানি চলছিল। গত বছরের নভেম্বরে এই মামলার শেষ শুনানি হয়। শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধরের এজলাসে চূড়ান্ত শুনানি চলছিল। বিচারক তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। বিচারক জানান, অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আর তা না হলে কমপক্ষে ১০ বছর জেলবন্দি থাকতে হবে। কথোপকথন চলার মাঝে আচমকা সকলের চোখে ধুলো দিয়ে এজলাস ছেড়ে পালিয়ে যায়।

ধর্ষণ মামলার আসামি জিতেন মাঝির আইনজীবী নির্মল মণ্ডল জানান, তাঁর মক্কেল শুক্রবার এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে শাখাইঘাট পেরিয়ে কেতুগ্রামে চলে যায়। রাতে আত্মীয়র বাড়িতে ছিল। সেখান থেকে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। এরপর আইনজীবীর কথামতো কাটোয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জিতেন। কিন্তু কেন এজলাস ছেড়ে পালাল জিতেন? আইনজীবীর দাবি, শুনানি শেষে প্রতিদিনই এজলাস ছেড়ে চলে যেত জিতেন। সেরকমই চূড়ান্ত শুনানির পর আদালত থেকে চলে যায়। পালিয়ে যায়নি সে।

বিচারক শনিবার জিতেন মাঝির সাজা ঘোষণা করেন। ধর্ষণের মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ কাটোয়া মহকুমা আদালতের। এক যুগ পর জিতেনের সাজা ঘোষণার খুশি নির্যাতিতার পরিবার।
 সংবাদ প্রতিদিন/ এনবিএস/২০১৩ / একে 

news