মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হলে বলব যে…’, মিঠুনের গলায় অভিমানের সুর!

এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোন বলে সম্বোধন করতেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু রাজনীতিতে হামেশাই পালাবদল হতে থাকে। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান অভিনেতার মধ্যে দূরত্ব এখন অনেকটাই। তাই বোন কিংবা দিদি বলতে এখন যেন কোথাও দ্বিধাবোধ হয়। তাই মমতাকে ‘ম্যাডাম’ বলেই ডাকতে চান মিঠুন। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন বিজেপি নেতা।

গত বছর আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ নিয়ে ‘মহাগুরু’ মুখে বলছেন, ‘কিছু যায় আসে না।’ কিন্তু মনে মনে কোথাও যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নানা কারণে তৈরি হয়েছে অভিমান। রাজনীতির পথেও একসময় অনেকখানি একসঙ্গে হেঁটেছেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমানে দুই পরস্পরের বিপরীতে দাঁড়িয়ে। তাই কি মমতাকে ‘বোন’ বলে মেনে নিতে দ্বিধাবোধ হয়? এখন দেখা হলে কী বলবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে? এ প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন বলেন, “বলব কেমন আছেন ম্যাডাম!” ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করতে চাইবেন না। কারণ মমতা তা কীভাবে নেবেন, তা নিয়ে সংশয় জন্মেছে মিঠুনের মনে। অভিমান থেকেই কি এই মনোভাব? প্রশ্ন শুনে খানিকক্ষণ চুপ করে রইলেন মহাগুরু। তারপর বললেন, “এ নিয়ে নাহয় অন্য কোনওদিন আলোচনা হবে।” তাঁর গলায় অভিমান অনেকটাই স্পষ্ট।

সাক্ষাৎকারে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশংসা করেন মিঠুন। বলেন, “অভিষেক ভীষণ ভাল বক্তা।” তবে এরপরই যোগ করেন, “ওকে একটু চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। কার সঙ্গে উঠছে-বসছে, একটু ভেবেচিন্তে করতে হবে।” তবে আবারও নাম না করে কুণাল ঘোষকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। এর আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে এলি-তেলি, গঙ্গারাম বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এবার তৃণমূল মুখপাত্রকে ‘মূর্খপাত্র’ বলেন মিঠুন। যাঁর পালটা দিয়ে কুণাল বলে দেন, অতীতে এই মিঠুন চক্রবর্তীই তাঁর কাছ থেকে একাধিক সাহায্য নিয়েছেন। কিন্তু এখন অতি বিজেপি হতে গিয়েই এসব কথা বলছেন।

সাক্ষাৎকারে মিঠুন আরও দাবি করেন, রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নাকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যার পালটা ফিরহাদের দাবি, “নীতি আদর্শ ছিল বলেই সিপিএম-এর সঙ্গে লড়েছি। সেই নীতি-আদর্শ নিয়েই বিজেপির সঙ্গেও লড়াই করব। গটসেবাদের সমর্থন করব না। বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করব না।”
সংবাদ প্রতিদিন/ এনবিএস/ ২০২৩/একে

news