নিজের বাড়িতে শিস দিলে সেটা যৌন হেনস্তা নয়, রায় বম্বে হাইকোর্টের

নিজের বাড়িতে বসেই কেউ যদি শিস দেয় বা আওয়াজ করে, তাহলে সেটাকে হেনস্তার পর্যায়ে ফেলা যায় না। শিস দেওয়ার অর্থ যৌন উসকানিমূলক ইঙ্গিত করা নয়। এই মর্মে তিন অভিযুক্তকে জামিন দিল বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তফসিলি জাতিভুক্ত এক মহিলার উদ্দেশে নানারকম আওয়াজ করে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারকদের তরফে জানানো হয়, অভিযুক্তদের সুরক্ষিত রাখা দরকার, কারণ প্রতিশোধের মানসিকতা থেকেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনজনের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? মামলাকারীর আবেদন অনুযায়ী, প্রতিবেশী তিনজন আপত্তিকর ভঙ্গিতে তাঁর দিকে তাকাতেন। শুধু তাই নয়, তফসিলি জাতিভুক্ত ওই মহিলাকে দেখলেই ছড়া কাটতেন। জাতি পরিচয় উল্লেখ করে কটাক্ষ করা হত বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। ওই তিন ব্যক্তি শিস দিয়ে, থালা বাজিয়ে মহিলাকে উত্যক্ত করা হত বলে অভিযোগ জানিয়েছেন আবেদনকারিণী।

মামলাকারীর দাবি, এরপরে তাঁর বাড়িতে পাথর ছুঁড়ে হামলা চালায় তিন অভিযুক্ত। যদিও কবে কোন সময়ে এই হামলা হয়েছে, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানাতে পারেননি অভিযোগকারিণী। তাই পুলিশের কাছে গেলেও অভিযোগ দায়ের করা যায়নি। তারপরেই আদালতে মামলা করেন ওই মহিলা। কিন্তু বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, তিন অভিযুক্তকে অগ্রিম জামিন দেওয়া হচ্ছে। কারণ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে রাজি হয়নি পুলিশ। তাছাড়াও শ্লীলতাহানির প্রমাণ নেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

দুই বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, নিজের বাড়িতে শব্দ করতে পারেন যে কেউই। তাছাড়া যৌন হেনস্তার অভিযোগ তখনই কার্যকর হয়, যখন এক মহিলার অনিচ্ছাসত্বেও জোর করে তাঁকে স্পর্শ করা হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সেরকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া জাতি পরিচয় নিয়ে কটাক্ষের ঘটনার প্রায় তিন মাস পরে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েছিল তিন অভিযুক্ত। হাইকোর্টের তরফেও একই রায় বহাল রইল।
সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২৩/একে
 

news