পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বাংলা ভাষায় ‘হাতেখড়ি’কে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতা দিলীপের কটাক্ষ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বাংলা ভাষায় ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল নেতারা পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করেছেন।

এ ব্যাপারে আজ (শুক্রবার) বিজেপির জাতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ এমপি কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘তারই ‘হাতেখড়ি’ হয় যে, অজ্ঞান। যে জানে না কিছু পৃথিবী সম্পর্কে, তার জ্ঞান দেওয়ার জন্য। যিনি সব জেনে গেছেন, তার আবার  ‘হাতেখড়ি’- এ তো হয় না। আমাদের দেশের পদ্ধতি আছে, বাচ্চাদেরকে হাতেখড়ি দেওয়া হয়, কলম দেওয়া হয় সরস্বতীর সামনে। ‘হাতেখড়ি’ বলি বাংলায়। বাকি জায়গায় বলা হয়, বিদ্যা আরম্ভম। কেরালাতেও আছে। উনি তো বিদ্বান ব্যক্তি   একজন। তার এ ধরণের অনুষ্ঠান করে ‘হাতেখড়ি’ করাটা একটু বেশি বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। আমার মনে হয় কে বুদ্ধি ওনাকে দিয়েছে আমি জানি না। এগুলো করাটা ওনার শোভা পায় না।’ এ ধরণের ড্রামা করাটা রাজ্যপালের শোভা পায় না’ বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এমপি। 

অন্যদিকে, দিলীপ বাবুর পাল্টা জবাবে তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায় এমপি বলেছেন, ‘আসলে এদের তো কোনও শিক্ষা, দীক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস সম্পর্কে কোনও জ্ঞান কিছুই নেই, তাই এ ধরণের কুমন্তব্য করছেন। এ রকম একটা সমৃদ্ধ ভাষা, সেটা যদি কেউ শিখতে চায় এবং তার জন্য যে প্রথা আছে, সরস্বতী পুজোর দিন আমরা ‘হাতেখড়ি’ দিই। কেউ বলছেন, বাচ্চাছেলেরা ‘হাতেখড়ি’ দেয়। কিন্তু বাচ্চাছেলে যদি বাঙালি না হয়ে থাকে, তিনি যদি বাংলা ভাষা শিখতে গিয়ে এই প্রথাকে মেনে বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানান, তাহলে তাকে সবাই স্বাগত জানানো উচিত। সবার এটা গ্রহণ করা উচিত। এটা একটা শিক্ষণীয় বিষয় যে তিনি বাংলাভাষী না হওয়া সত্ত্বেও বাংলা ভাষার প্রতি তার শ্রদ্ধা রয়েছে।’      

গতকাল (বৃহস্পতিবার) সরস্বতী পুজোর দিন বাংলায় ‘হাতেখড়ি’ দেওয়া হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা লেখা ও বলা শুরু করলেন রাজ্যপাল। তার হাতে ‘বর্ণপরিচয়’  তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই ইস্যুতে বিজেপি ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কার্যত পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। 

খরব পার্সটুডে/এনবিএস/২০২৩/একে

news