বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবি, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আংশিক কর্মবিরতির ডাক সরকারি কর্মীদের

 বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবিতে এবার বড়সড় আন্দোলনের পথে সরকারি কর্মীরা। শহিদ মিনারে অবস্থান বিক্ষোভের পর এবার আংশিক কর্মবিরতির ডাক দিলেন তাঁরা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বুধবার ঘণ্টাদুয়েক কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের ২৮টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের।

গত তিনদিন ধরে শহিদ মিনারে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের ২৮টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া ৩৫ শতাংশ ডিএ রাজ্য সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে। দাবিপূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথ বেছে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর রবিবার বিকেলে সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের ২৮টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। তাতেই জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা। ওই সংগঠনগুলির সংগঠনের যৌথ মঞ্চের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বেলা দু’টো থেকে চারটে পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি দপ্তর বন্ধ থাকবে। সরকারি স্কুল, হাসপাতালেও চলবে আংশিক কর্মবিরতি।

ডিএ’র দাবিতে আন্দোলনকে অযথা রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে বলেই অভিযোগ সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের ২৮টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের। ওই সংগঠনগুলির সদস্যদের দাবি, এভাবে কার্যত মৌলিক অধিকার দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁদের হুঁশিয়ারি, “আমরা ৫০ ঘণ্টা ধরে ধরনায় বসলেও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে কীভাবে দাবিপূরণ করতে হয়, তা আমাদের জানা রয়েছে।”

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্যাটে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। আবেদনে বলা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাঝে ডিএ বাড়ালেও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম পান। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে SAT-এর রায়ই বহাল রাখে হাই কোর্ট। কিন্তু সেই রায়ের পরেও মেলেনি ডিএ। এই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। আগামী ১৫ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন ঠিক কী রায় দেয় আদালত, সেদিকেই তাকিয়ে সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা।
সংবাদ প্রতিদিন// এনবিএস ২০২৩/একে

news