মাওবাদী দৌরাত্ম্য, নাশকতা ছিন্নভিন্ন করেছিল, কফি চাষে সেই বাস্তারই এখন উন্নয়নের মুখ


মাওবাদীদের দৌরাত্ম্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল ছত্তীসগড়ের বাস্তার। মাও হানা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সঙ্গে পরিকাঠামোর অভাব বেকারত্বও বাড়িয়ে তুলেছিল। ধুঁকতে থাকা বাস্তারে (Bastar) উন্নয়নের জোয়ার আনতে শিক্ষা, কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এখন সেই বাস্তারই উন্নয়নের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কফি চাষে নতুন দিশা দেখাচ্ছে ছত্তীসগড়ের এই জেলা।

ভারতীয় কফি বোর্ডের সহযোগিতায় হর্টিকালচার কলেজ যে কফি উৎপাদন করছে তা যেমন একদিকে রফতানিতে প্রচুর মুনাফা কামাচ্ছে, তেমনি বাস্তারের (Bastar) বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগও করে দিয়েছে। 
২০১৬ সালে বাস্তারে যে কফি বাগান তৈরি হয়েছিল তাই এখন বাণিজ্যিক মডেল হয়ে উঠেছে। দরভা ব্লকে বনভূমিতে কফির চাষ শুরু হয়। জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে কফি চাষ শুরু করেছিল। দরভা সেই জায়গা যেখানে ২০১৩ সালে সবচেয়ে বড় নকশাল হামলা হয়েছিল। দরভা ব্লকের অন্তর্গত ঝিরাম উপত্যকায় ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সময় কংগ্রেস নেতাদের কনভয়ে হামলা চালিয়ে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নন্দ কুমার প্যাটেল সহ প্রায় ২৯ জনকে হত্যা করা হয়। 
চারটি আলাদা জাতের কফি চাষ হচ্ছে বাস্তরাে। সারা দেশে এই কফি রফতানি হচ্ছে। আয়ের পরিমাণও বেড়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ধীরে ধীরে কর্মসংস্থানের উন্নতি হচ্ছে। এখন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফলন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। স্থানীয় কৃষকদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। প্রতি কৃষকের বার্ষিক আয়ও ভাল হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
খবর দ্য ওয়ালের/ এনবিএস/২০২৩/একে

news