ভয় থেকে ত্রিপুরায় নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে: জিতেন্দ্র চৌধুরী
 
ভারতে বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের প্রধান শরিক সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মধ্যে পরাজয়ের আতঙ্ক চেপে ধরায়, নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আজ (মঙ্গলবার) ওই মন্তব্য করেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সম্প্রতি নিহত হওয়া সিপিএম কর্মী দিলীপ শুক্ল দাসের বাড়িতে আজ  উপস্থিত হয়ে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফল ঘোষণা হবে আগামী ২ মার্চ। 

সিপিএম নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী আজ বলেন, ‘মানুষ যেভাবে সমস্ত ঝুঁকি উপেক্ষা করে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভোট দিলো, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজপি) শিবিরে একটা বড় ধরণের আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা এবং পরাজয়ের ভূত চেপে বসে। তারই বহিঃপ্রকাশ হল হত্যার ঘটনা। একটা কাপুরুষোচিত, নৃশংস এই খুন। আমরা কমরেড দিলীপ শুক্ল দাসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। গণতন্ত্রের জন্য, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য তার যে আত্মত্যাগ তা সারা ত্রিপুরার মানুষ ভুলবে না।’

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ১৮ ফেব্রয়ারি কল্যাণপুর থানার অন্তর্গত দারিকাপুর গীরিন্ডশীল পাড়া এলাকায় দারিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণকমল দাসের সাথে বামকর্মী দিলীপ শুক্ল দাসের কোনও বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে উত্তেজনা এতটাই বেড়ে যায় যে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে বিজেপি প্রধান কৃষ্ণ কমল দাস বামফ্রন্ট কর্মী দিলীপ শুক্ল দাসের মাথায় কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। এতে গুরুতর রক্তাক্ত হয় বাম কর্মী দিলীপ শুক্ল দাস। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎাধীন অবস্থায় তার  মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গতকাল (সোমবার) সকালে নিজ বাড়ি থেকে  বিজেপি প্রধান কৃষ্ণ কমল দাস ও তার সঙ্গী সরোজ দাসকে গ্রেফতার করে  কল্যাণপুর থানার পুলিশ। দু’জনকেই পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে খোয়াই জেলা  ও দায়রা আদালতে পেশ করে কল্যাণপুর থানার পুলিশ। আদালত তিনদিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে পুলিশি হাজতে পাঠিয়ে দেয়। অভিযুক্ত কৃষ্ণ কমল দাস ও সরোজ দাসকে আগামীকাল (বুধবার) পুনরায় আদালতে পেশ করা হবে।
খবর পার্সটুডে/ এনবিএস/২০২৩/একে

news