ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষায় কোরিয়ান এবং জাপানিজ ভাষা জানা জরুরি  

বিদেশে কর্মসংস্থান, উচ্চতর ডিগ্রিসহ নিজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নতুন বিদেশী ভাষা শেখাটাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন অনেকেই। কর্মসংস্থানের সুযোগের চীনা, কোরিয়ান ও জাপানি ভাষা জানা অতি জরুরি। আর এসকল ভাষা প্রশিক্ষণ নিয়ে আলাপকালে ভাষা প্রশিক্ষক জহিরুল ইসলাম জানান কি ভাবে এসব ভাষা কাজে লাগে। নিজে কিভাবে দক্ষ হলেন ভাষা শিক্ষায়সহ নানান বিষয়।

তিনি বলেন, আমার পড়াশোনা বিজ্ঞান বিভাগে, স্নাতক করেছি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।ইচ্ছে ছিল কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগাবো। কিন্তু ঘটনাক্রমে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর পরিবর্তে জাপানিজ, কোরিয়ান ভাষা ল্যাঙ্গুয়েজে ক্যারিয়ার হয়ে গেছে।

জহিরুল ইসলাম বলেন, স্নাতক করা অবস্থায় কোরিয়ান ভাষা শেখা শুরু করেছিলাম,পরবর্তীতে জাপানিজ ভাষা শিখেছি। একটা সময়ে গিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষন দেয়া শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে ভালোলাগা থেকেই এই পেশা থেকে আর বের হতে পারেনি।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের বোয়েসেলের মাধ্যমে জাপান যাওয়ার জন্য পরীক্ষায় বাংলাদেশে ১ম হয়ে বিনা টাকায় জাপান গিয়েছিলাম। কিন্তু ভাষা প্রশিক্ষণ এর প্রতি বিশেষ টান থাকার কারণে দেশে চলে এসেছি এবং প্রশিক্ষণের ধারা এখনো অব্যাহত রাখছি। মূলত বাংলাদেশে  জাপানিজ, কোরিয়ান এবং চাইনিজ ভাষা শিক্ষার্থী বেশি।

তিনি জানান, দক্ষিণ কোরিয়াতে বাংলাদেশ সরকারের বোয়েসেল এবং কোরিয়ান সরকারের এইচ আরডি কোরিয়ার মাধ্যমে ইপিএস এর অধীনে সরকারিভাবে বিনা টাকায় কোরিয়া যাওয়া যায়। তাই কোরিয়ান ভাষা শিক্ষার্থী বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়াও জাপানে সরকারিভাবে যাওয়ার পাশাপাশি স্টুডেন্ট ভিসায় প্রচুর শিক্ষার্থী জাপান গিয়ে থাকে। তাই আমাদের এই প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান এবং জাপানিজ ভাষা শিক্ষার্থীরা বেশি আসে। এছাড়াও চায়নায় বসবাস করে কিংবা চায়নার সাথে ব্যবসা করে, এমন প্রয়োজনে অনেকে চাইনিজ ভাষা শিখে থাকে এছাড়াও ইতালিয়ান, জার্মান, ডাচসহ ২১টি ভাষা শিখানো হয়।

কোন দেশে সরকারি ভাবে যাওয়া যায় এমন প্রশ্নের জবাবে জহিরুল ইসলাম বলেন,বর্তমানে সরকারীভাবে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ অনেক দেশেই যাওয়া যায়। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের বোয়েসেল- এর মাধ্যমে প্রতিবছর বিজ্ঞাপন হয়ে থাকে। এই বিজ্ঞাপনে আবেদন করলে বিনা টাকায় দালাল, মাধ্যম ছাড়া ইপিএস এর আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। যেখানে প্রতি মাসে দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় করা যায়।

জাপানের আইএম জাপান নামক একটি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সরকারের বিএমইটির মাধ্যমে বিনা টাকায় জাপান যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, ইংরেজি ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য বিদেশী ভাষা প্রশিক্ষণ সরকার বিশেষভাবে অবদান রাখছে। বলতে গেলে, সরকার বিনা টাকায় বিভিন্ন টিটিসিতে ভাষা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার যদি প্রতিটি স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিদেশি ভাষার কোর্স চালু করে তাহলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে বলে মনে করি।

এনবিএস/ওডে/সি

news