জবির ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। তুচ্ছ ঘটনায় ওই ছাত্রীকে হুমকি প্রদানের পাশাপাশি মারতে উদ্যত হবার অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মুনিয়া আক্তার যূথীর বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে রোববার (২৬ মার্চ) হল প্রভোস্ট বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দেন ওই ছাত্রী।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ছাত্রী হলের ৮তলায় রান্নাঘরকেন্দ্রীক কিছু বিচ্ছিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সবাই মিলে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় শনিবার রাতে। যেখানে সমস্যার বিষয়ে সবার মতামত জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু সবশেষে কয়েকজন তাদের মনমতো একটি সিদ্ধান্ত দেয় যা মেনে নেয়া নিয়েই আপত্তি ছিল।

এর প্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সমাধানের উদ্যোগ নিতে বলে। সেই কথার পর অভিযুক্ত মুনিয়া আক্তার যূথী রাগান্বিত হয়ে বলতে থাকে আমরা যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটা মানতেই হবে, এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবেনা এমনকি ভিসি এসেও পরিবর্তন করতে পারবেনা। বলেই সে ওই ছাত্রীকে মারার জন্য উদ্যত হয়ে তার দিকে তেড়ে আসে৷ এ সময় এ সময় অপর একজনও ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে কিভাবে সিদ্ধান্ত না মেনে থাকে দেখা যাবে। এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রীর রুমমেটরা দ্রুত তাকে সেখান থেকে নিয়ে যায়৷

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, একটা সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজের মত জানাতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি৷ এই ঘটনার রেষে পরবর্তীতে কোনভাবে আবারও আক্রমণের শিকার হতে পারি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তবে অভিযোগের বিষয়ে মুনিয়া আক্তার যূথীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রী বলেন, আমি তখন সেখানেই ছিলাম। ভোটের কথা বলার পরই যূথী রাগান্বিত হয়েই মারতে উদ্যত হয় ওই ছাত্রীকে৷ এটায় আরও কয়েকজন সমর্থন দিচ্ছিলো আর বলছিল কিভাবে সিদ্ধান্ত না মেনে থাকে দেখা যাবে। একটা আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তারা যেকোন বিষয়েই।

ওই ফ্লোরের দায়িত্বে থাকা সহকারী হাউজ টিউটর সহযোগী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, হলে রাজনৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করে কারো কিছু করার অধিকার নেই। বিষয়টি শুনেছি। প্রভোস্ট ম্যামের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। আমি ৮ তলায় দায়িত্বরত হাউজ টিউটরকে জানিয়েছি। আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি আছে তারাও বিষয়টি যাচাই বাচাই করে দেখবে। সত্যতা প্রমান হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news