বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত রোববার (২৬ অক্টোবর) বার্লিনের কাছে অবস্থিত দুটি খামারে পালিত প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার হাঁস-মুরগি নিধনের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পাখি বা এ জাতীয় প্রাণী থেকে মানুষের দেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের ঝুঁকি 'তুলনামূলকভাবে কম' হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ মূলত সুস্থ হাঁস, মুরগি ও অন্যান্য পাখিকে বাঁচিয়ে রাখতে এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

দুই খামারে ভয়াবহ সংক্রমণ
জার্মানির ব্র্যান্ডেনবার্গ রাজ্যের মেরকিশচ-ওদারলান্দ জেলার দুটি খামারে বার্ড ফ্লু'র সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি খামারে ৮০ হাজার হাঁস এবং অপর একটি খামারে ৫০ হাজার ব্রয়লার মুরগি নিধন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমাতে চাইছে।

এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে স্থানীয় পশুসম্পদ দপ্তর পশু-পাখিদের সার্বিক কল্যাণ ও স্বাস্থ্যগত কারণে সংক্রামিত পশু নিধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"

'উচ্চ' ঝুঁকি নিয়ে সতর্কতা
জার্মানির বেশ কয়েকটি রাজ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ঠেকাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে নজরদারি জোন তৈরি করা এবং হাঁস-মুরগিকে নির্দিষ্ট স্টলে বা খাঁচার ভেতরে রাখার নির্দেশ দেওয়া।

জার্মানির কৃষিমন্ত্রী অ্যালোইস রাইনার গত শুক্রবার সতর্ক করে বলেছিলেন, গত দুই সপ্তাহে 'সংক্রমণ খুব দ্রুত বেড়েছে।'

জার্মানির জাতীয় পশু-রোগ গবেষণাকেন্দ্র ফ্রিডরিখ লেফলার ইনস্টিটিউট FLI জানিয়েছে, সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার 'উচ্চ' ঝুঁকি রয়েছে। এফএলআই সতর্ক করেছে যে, হাঁস ও মুরগির পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা সারস পাখিও এবারই প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এই রোগ অন্যান্য পশুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ অসুস্থ বা মৃত পশু-পাখি থেকে মানুষদের দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এফএলআই আবারও সতর্ক করেছে, সামান্য হলেও পাখি বা হাঁস-মুরগি থেকে এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

news