ভুয়া তথ্য জুগিয়ে আমেরিকার গ্রিনকার্ড পাওয়া অভিবাসীদের নিয়ে শুরু হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান। মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) এজেন্টরা এই অভিযান চালাচ্ছেন। এরইমধ্যে ৪৫ হাজার গ্রিনকার্ডধারীকে তাদের গ্রিনকার্ড বাতিলের নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই তালিকায় অন্তত ২ হাজার বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুরো ঘটনার শুরু গত ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'অভ্যন্তরীণ দুর্বৃত্তদের কবল থেকে আমেরিকানদের রক্ষা' নামে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। সেই আদেশ মেনেই ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৫ হাজার গ্রিনকার্ডের কার্যকারিতা স্থগিত রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিসে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস (এনটিএ) পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু কাদেরকে এই নোটিস পাঠানো হচ্ছে? যারা রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া কিংবা অন্য কোনও প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করেছিলেন, তারা যদি ইউএসসিআইএস-কে (ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস) ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকেন, তাহলেই তাদের বিরুদ্ধে এনটিএ ইস্যু করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আমেরিকা সুপ্রিম কোর্টে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান আইনজীবী মঈন চৌধুরী কী বলছেন? তিনি জানান, সিটিজেনশিপ বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার পর ইউএসসিআইএস আগে দেওয়া সব তথ্য-উপাত্তই নতুন করে খুব গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে। কোনও গড়মিল পেলে  ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কোন কোন রাজ্যে এই নোটিস বেশি going? ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান, টেক্সাস, নিউজার্সি, নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়ার মতো রাজ্যগুলো থেকে তথ্য বলছে, প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১,৮৪০ জনের বেশি মানুষকে এনটিএ নোটিস দেওয়া হচ্ছে।

মজার ব্যাপার হলো, এই অভিযান শুধু ট্রাম্পের আমলেই নয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়েও এমনটা হয়েছে। তখন সবচেয়ে বেশি এনটিএ নোটিস গেছে মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা এবং মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের। কারণ, বাইডেনের সময়ে তারা দল বেঁধে সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় ঢুকেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন এবং ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছিলেন। এখন যখন তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করছেন, তখনই তাদের আগের দেওয়া তথ্য যাচাই করে এই নোটিস পাঠানো হচ্ছে।

 

news