রাশিয়া-চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে মার্কিন সেনা নেতাদের পারমাণবিক অস্ত্র টেস্ট ফের শুরু করার নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করার ঠিক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখলেন, “অন্য দেশগুলো টেস্ট করছে বলে, আমি যুদ্ধ বিভাগকে সমান তালে আমাদের নিউক্লিয়ার টেস্ট শুরু করার অর্ডার দিয়েছি।”
ট্রাম্প বললেন, যেকোনো দেশের চেয়ে আমেরিকার নিউক্লিয়ার অস্ত্র সবচেয়ে বেশি, রাশিয়া দ্বিতীয় আর চীন “দূরের তৃতীয়”। ১৯৯২ সাল থেকে তারা আর টেস্ট করেনি।
রাশিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র টেস্টের নিন্দা করার কয়েক দিন পরই এই পোস্ট এল, যার আনলিমিটেড রেঞ্জের খবর বেরিয়েছে।
বুধবার রাতের পোস্টে ট্রাম্প নিউক্লিয়ার অস্ত্রের “অসাধারণ ধ্বংস ক্ষমতা” মেনে নিলেন, কিন্তু বললেন তার প্রথম মেয়াদে অস্ত্রাগার আপডেট আর রিফর্ম না করলে “কোনো রাস্তা নেই”।
তিনি আরও বললেন, চীনের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম “৫ বছরেই সমান হয়ে যাবে”।
পোস্টে টেস্ট কীভাবে হবে তার ডিটেইল নেই, তবে “প্রক্রিয়া তৎক্ষণাৎ শুরু হবে” লিখেছেন।
এটা আমেরিকার লং-টাইম পলিসির একদম উল্টো পথ। ১৯৯২ সালে শেষ নিউক্লিয়ার টেস্ট হয়েছিল, তার আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশ কোল্ড ওয়ার শেষ হওয়ায় সাসপেন্ড করেছিলেন।
২০১৯ সালের পর প্রথম ফেস-টু-ফেস মিটিংয়ের জন্য শি দক্ষিণ কোরিয়ায় ল্যান্ড করার ঠিক আগে ট্রাম্পের পোস্ট এল। গিমহে এয়ারপোর্টে শির সঙ্গে দেখা করতে মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারে চড়ে এই পোস্ট করেন।
আমেরিকা শেষবার নিউক্লিয়ার বোমা টেস্ট করেছিল ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯২। নেভাদার একটা আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্যাসিলিটিতে টেস্ট হয়।
লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি বলছে, ‘ডিভাইডার’ নামের এই প্রজেক্ট ছিল আমেরিকার ১,০৫৪তম নিউক্লিয়ার টেস্ট, যেটা বিশ্বের প্রথম নিউক্লিয়ার বোমা বানাতে বড় রোল প্লে করেছিল।
লাস ভেগাসের ৬৫ মাইল (১০৫ কিমি) উত্তরে নেভাদা টেস্ট সাইটটা এখনো আমেরিকান সরকার চালায়।
“দরকার হলে এখানে আবার নিউক্লিয়ার টেস্টের অনুমতি দেওয়া যাবে,” স্মিথসোনিয়ানের অধীনে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ নিউক্লিয়ার সায়েন্স অ্যান্ড হিস্ট্রি জানিয়েছে।
