চলতি বছরের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া স্বল্প সময়ের আকাশযুদ্ধ নিয়ে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জোর দিয়ে দাবি করেছেন, ওই সংঘর্ষে 'ব্র্যান্ড নিউ, বিউটিফুল' (একেবারে নতুন, সুন্দর) সাতটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল।
টোকিওর মঞ্চে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য: বাণিজ্য বন্ধের হুমকিই থামিয়েছিল যুদ্ধ!
জাপানের রাজধানী টোকিওতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, “দুটি বড় পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যুদ্ধ করছিল। তখন সাতটি নতুন, সুন্দর যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। আমি তখন মোদি (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) ও শেহবাজ শরিফ (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী) দুজনকেই বলেছিলাম – যুদ্ধ করলে বাণিজ্য বন্ধ।”
ভারতের অস্বীকার: ট্রাম্পের দাবি কি শুধুই বাড়িয়ে বলা?
ট্রাম্পের দাবি, বাণিজ্য স্থগিতের তাঁর এই হুমকির ফলেই ১০ মে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে, ভারত এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেছে। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি তাদের নিজস্ব কূটনৈতিক উদ্যোগের ফল, ট্রাম্পের দাবি বেশ বাড়িয়ে বলা।
বিশেষজ্ঞদের চোখে দশকের সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধ
৭ মে রাতের অন্ধকারে এই আকাশযুদ্ধটি ঘটেছিল। অনুমান করা হয়, এই সংঘর্ষে প্রায় ১১০টি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছিল। এই ঘটনাকে বিশেষজ্ঞরা দশকের মধ্যে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে হওয়া সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
পাকিস্তানের দাবি: পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী সেই সময় ৬টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছিল।
ভারতের অবস্থান: ভারত ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলেও নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানায়নি।
সংঘর্ষের নেপথ্যে ছিল কাশ্মীর হামলা
এই আকাশযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হওয়া এক হামলার জেরে, যেখানে ২৬ জন নিহত হন। নয়াদিল্লি এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত থাকার অভিযোগ করে। যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানায়।
'আমার হুমকিই ৭০ শতাংশ কাজ করে': ট্রাম্পের দাবি
ট্রাম্প আরও জোর দিয়ে বলেছেন, “ভারত-পাকিস্তান সহ আজারবাইজান-আর্মেনিয়া, মিশর-ইথিওপিয়া, এমনকি ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা কমাতেও আমার হুমকিই ৭০ শতাংশ ভূমিকা রেখেছিল।” যদিও ভারত তাঁর এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
