যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আশা প্রকাশ করেছেন যে, হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা তার স্ত্রী উষা ভ্যান্স একদিন খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করবেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সময়ের সঙ্গে উষা ক্যাথলিক গির্জার শিক্ষা ও পরিবেশে প্রভাবিত হয়ে খ্রিষ্টধর্মে অনুপ্রাণিত হতে পারেন।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে যুব সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’-এর এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন জেডি ভ্যান্স।

একজন দর্শক প্রশ্ন করেছিলেন—উষা ভ্যান্স শেষ পর্যন্ত খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন কি না? জবাবে জেডি ভ্যান্স বলেন,

“এখন প্রায় প্রতি রোববারই উষা আমার সঙ্গে গির্জায় যায়। আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি—আমি সত্যিই আশা করি, সে কোনোভাবে গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হবে, যেমনটা আমি হয়েছি। কারণ আমি খ্রিষ্টের বাণীতে বিশ্বাস করি, এবং আশা করি একদিন সে-ও একই উপলব্ধি করবে।”

তবে ভ্যান্স স্পষ্টভাবে বলেন, উষা খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ না করলেও তাতে তার কোনো আপত্তি নেই। তার ভাষায়,

“ঈশ্বর বলেছেন, প্রত্যেকেরই স্বাধীন ইচ্ছা আছে। তাই এটি নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। এই বিষয়গুলো বন্ধু, পরিবার ও প্রিয়জনের মধ্যে আলোচনা করেই বোঝা যায়।”

রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা ২০১৯ সালে ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষা নেন। তবে তার স্ত্রী উষা শৈশব থেকেই হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।

নিজেদের প্রথম সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে ভ্যান্স জানান,

“যখন উষার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়, তখন আমি নিজেকে নাস্তিক বা সংশয়বাদী মনে করতাম।”

যদিও দম্পতির সন্তানরা এখন খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ী বড় হচ্ছে এবং খ্রিষ্টান স্কুলে পড়াশোনা করছে।

এই মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই ভ্যান্সের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত বিশ্বাস হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, রাজনীতির মঞ্চে এমন ধর্মীয় মন্তব্য কতটা শোভন।

 

news