মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠক করে একে ‘দুর্দান্ত ও ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টার পর হোয়াইট হাউসে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যদিও ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প ছিলেন মামদানির কঠোর বিরোধী এবং প্রচারজুড়ে একে অপরকে কটাক্ষ করতেও পিছপা হননি। কিন্তু এদিনের বৈঠকে ছিল একেবারেই ভিন্ন পরিবেশ—ট্রাম্প প্রকাশ্যে মামদানির প্রশংসা করেন।
আধঘণ্টার সাক্ষাৎ শেষে দুজনেই সাংবাদিকদের সামনে আসেন। নবনির্বাচিত মেয়রকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “নিউইয়র্কের মেয়র হওয়া বিশাল ব্যাপার। আমি আশা করি তিনি দুর্দান্ত মেয়র হবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দারুণ একটা বৈঠক হলো—খুবই ভালো, খুবই ফলপ্রসূ। আমাদের মিল আছে, আমরা দুজনেই এই শহরকে এগিয়ে নিতে চাই।”
ট্রাম্প জানান, মামদানি একটি অসাধারণ নির্বাচন করেছেন। “তিনি কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সহজেই হারিয়েছেন,”—এ মন্তব্যও করেন তিনি। অন্যদিকে মামদানি বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এবং এ বৈঠক তাকে আরও আশাবাদী করেছে।
বৈঠকে নিউইয়র্ক সিটির আইনশৃঙ্খলা, অপরাধ প্রবণতা, আবাসন সংকট, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা—এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। মামদানি বলেন, “আমাদের আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল কীভাবে নিউইয়র্কবাসীর জন্য সাশ্রয়ী জীবন নিশ্চিত করা যায়।”
চলতি মাসের শুরুর নির্বাচনে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি আগামী ১ জানুয়ারি এরিক অ্যাডামসের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
মাত্র কয়েক দিন আগেও যারা ছিলেন পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী, ওভাল অফিসে তাদের এই আন্তরিক সাক্ষাৎ যেন আবার মনে করিয়ে দিল—রাজনীতিতে চিরশত্রু বলে কিছু নেই।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক নিউইয়র্কবাসীর মধ্যে আপাতত স্বস্তি এনে দেবে এবং শহরের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দেবে।
