২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, দাদরির বিসাহরা গ্রামে হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে আখলাকের বাড়িতে গরুর মাংস রাখা আছে। এর পর একদল মানুষ লাঠি, লোহার রড, তলোয়ার ও পিস্তল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে আখলাককে পিটিয়ে হত্যা করে এবং তার ছেলে দানিশ গুরুতর আহত হয়।
আখলাকের পরিবারের দাবি, ফ্রিজে খাসির মাংস ছিল, গরুর নয়।
মোহাম্মদ আখলাকের পরিবারের আইনজীবী মোহাম্মদ ইউসুফ সাইফি জানিয়েছেন, মামলায় অভিযুক্ত ১৮ জন এখনো জামিনে রয়েছেন।
মামলার ১০ বছর পর, উত্তর প্রদেশ সরকার আদালতে আবেদন করেছে, সাক্ষীদের বক্তব্যে অসঙ্গতি ও সামাজিক সম্প্রীতি পুনরুদ্ধারের যুক্তি দেখিয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের অনুমতি চাইছে। মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ১২ ডিসেম্বর।
আখলাকের ছোট ভাই জান মোহাম্মদ বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি ১০ বছরের লড়াই শেষে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত অপরাধীদের সাহস বাড়াতে পারে, আর আমাদের নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে ফেলতে পারে।”
এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে দেশে এবং বিশেষ করে আখলাকের পরিবারে বিস্তারিত বিতর্ক শুরু হয়েছে। দেশের অনেক মানুষ মনে করছে, এটি হিংস্র হিন্দুদের জন্য সরকারী সহানুভূতির ইঙ্গিত হতে পারে।
সংক্ষেপে: আখলাক হত্যার ঘটনা ভারতীয় গণপিটুনির ইতিহাসে এক মর্মস্পর্শী ঘটনা। এখন রাজ্য সরকারের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যা মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের দিক থেকে বড় প্রশ্ন তুলেছে।
