সিরিয়ার দখলকৃত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোলানি সরকার ও ইসরায়েলের আলোচনা পুরোপুরি অচলাবস্থা পৌঁছেছে। ঠিক সেই সময় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এক ইসরায়েলি মন্ত্রীর মন্তব্য, ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ ও জেফ্রি এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে প্রবন্ধের পুনর্প্রকাশ—সব মিলিয়ে ইঙ্গিত দেয় যে, নিরাপত্তা, কূটনীতি ও গণমাধ্যম—এই তিন ক্ষেত্রেই ইসরায়েল এখন নতুন সংকটের মুখোমুখি।
সিরিয়া সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ চাপ সত্ত্বেও নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরিকল্পনা বহাল রেখেছেন। একই সঙ্গে, ইসরায়েলি এক মন্ত্রীর মন্তব্যে জর্ডান ক্ষুব্ধ হয়েছে। আর এপস্টেইন–মোসাদ সংযোগের নতুন বিতর্কও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ইসরায়েলি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, গোলান মালভূমি থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি “অযৌক্তিক” বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। দামেস্কের সঙ্গে কোনো নিরাপত্তা চুক্তি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। নেতানিয়াহু জাবাল আল-শেইখে ইসরায়েলি সেনাঘাঁটিতে সফর করে দক্ষিণ সিরিয়ায় কৌশলগত অবস্থান ধরে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইলি কোহেন বলেন, “ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজন নেই, কারণ অধিকাংশ ফিলিস্তিনি জর্ডানে আছেন।” এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় জর্ডান। তারা মন্তব্যটিকে “উসকানিমূলক এবং ফিলিস্তিনিদের স্ব-নিয়ন্ত্রণের অধিকারের পরিপন্থী” বলে অভিহিত করেছে। জর্ডান আরও বলেছে, তেল আবিবের ক্রমবর্ধমান উগ্রনীতি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।
নেতানিয়াহু তার যুক্তরাষ্ট্র সফর পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী চালাচ্ছেন। উদ্দেশ্য: ওয়াশিংটনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি তুলে ধরা।

একই সময়ে, নেতানিয়াহু জ্যাকোবিন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে কুখ্যাত ধনকুবের জেফ্রি এপস্টেইন ইহুদ বারাক সরকারের সময় মোসাদের সঙ্গে কাজ করতেন। এই প্রবন্ধের পুনর্প্রকাশে নেতানিয়াহুর সরকারকে “উগ্র ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্য ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ইহুদ বারাককে চাপে ফেলা।
সংক্ষেপে, সিরিয়া সীমান্তে উত্তেজনা, জর্ডানের ক্ষোভ এবং এপস্টেইন বিতর্ক—সব মিলিয়ে ইসরায়েলের এই সপ্তাহটি ছিল নড়বড়ে কূটনীতি ও নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত জটিল।
 

news