নীতীশ কুমার দশমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। তবে এবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আগেরগুলোর মতো সহজ ছিল না। সাধারণত শক্তিশালী ভাষণে পরিচিত নীতীশ এবার শব্দ উচ্চারণে একটু কষ্ট পেলেন। তার গলায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট।
তবুও বিহারের রাজনীতিতে নীতীশ কুমারের প্রাসঙ্গিকতা কমেনি। ২০০৫ সাল থেকে যে জোটের সঙ্গে তিনি আছেন, সেটিই সব সময় ক্ষমতায় এসেছে। লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি বা বিজেপি কখনো এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারেনি।
নীতীশ ১৯৮৫ সালে প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন। তার রাজনৈতিক জীবন এখন দীর্ঘতম পর্যায়ে, তবুও জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাব এখনও আছে। তাই প্রশ্ন ওঠে, বিহারে নীতীশ
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তার দল জেডিইউ মাত্র ৪৩টি আসন পেয়েও, বিজেপি নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী বানালো। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও, মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশের স্থানই ধরে রাখা হলো।
নীতীশ কেবল বিহারের নয়, ভারতের রাজনীতিতেও আকর্ষণীয় একজন নেতা। বিহারের দীর্ঘতম সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা ও মধ্যপন্থী অবস্থান জোটের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিহারের তিনটি প্রধান দল হলো আরজেডি, বিজেপি এবং জেডিইউ। লালু–রাবড়ি যুগে বিরোধীরা ‘জঙ্গলরাজ’ বলে সমালোচনা করতেন। বিজেপি প্রকাশ্যেই হিন্দুত্বের রাজনীতি করে, আর জেডিইউ মধ্যপন্থা অবলম্বন করে।
প্রবীণ সাংবাদিক সুরুর আহমেদ বলেন, ‘১৯৭৭ এবং ১৯৮০ সালের নির্বাচনে নীতীশ হেরে যান। ১৯৯০ সালে লালু রাজনীতিতে এলেন, তখন বিজেপির জন্য দরকার ছিল একজন ওবিসি নেতা, যিনি অন্যান্য পশ্চাৎপদ সম্প্রদায়ের মধ্যে সমর্থন জোগাতে পারবেন।’
বেসামরিক থেকে রাজনৈতিক সব পর্যায়ে, নীতীশ কুমারের স্থিতিশীল নেতৃত্বই বিহারের রাজনীতিকে ধরে রেখেছে। আর তাই, বিজেপি তাঁকেই আবারো মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছে।
