ইউক্রেনকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনার ইঙ্গিত দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্বের কিছু অংশ রাশিয়ার সঙ্গে বড় যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা বলছে—এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত। এসব বক্তব্যকে তিনি সরাসরি ‘হিস্টেরিয়া’ বলে আখ্যা দেন। বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নিরাপত্তা বৈঠকে এই মন্তব্য করেন পুতিন।

পুতিন আরও স্পষ্ট করে বলেন, যদি ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো শান্তি আলোচনার পথ থেকে সরে যায়, তাহলে রাশিয়া ইউক্রেনে যেসব ভূখণ্ড দাবি করছে, সেগুলো সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে দখলে নিতে পারে।

ওই বৈঠকে তিনি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের অগ্রগতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি, ইউক্রেন সংঘাত থেকে পাওয়া বাস্তব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন অস্ত্র উন্নয়নে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন পুতিন।

পশ্চিমা নেতাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “যারা ইউক্রেন সংঘাতকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলতে চাইছেন, তাদের অবস্থান একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন।”

এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের জানান, মার্কিন মধ্যস্থতায় সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির আওতায় ইউক্রেনে ইউরোপীয় যেকোনো সেনা মোতায়েনের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান পরিষ্কার। তবে এই বিষয়টি আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাবে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে, পশ্চিম ইউক্রেনে অবস্থান নিয়ে সহায়তা করবে।

পেসকভ বলেন, “ইউক্রেনের ভূখণ্ডে বিদেশি সেনা মোতায়েনের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান সবার জানা। এটি স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবে আলোচনা হতে পারে।”

তিনি আরও জানান, চলতি সপ্তাহে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মস্কো সফরের সম্ভাবনা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত হলে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে মস্কোকে জানানো হবে—এমনটাই আশা করছে রাশিয়া।

 

news