তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থামছে না সহিংসতা। এই সংঘর্ষে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, দুই পক্ষের সেনাদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালালেও, ইউরোপীয় জোট এখনও সে পথে হাঁটতে রাজি নয়।
এমনই এক সময়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করতে বড় পদক্ষেপের ঘোষণা দিলেন জার্মান চ্যান্সেলর অলাফ শল্ৎস। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটিতে ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন একটি বহুজাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার জনসাধারণের প্রচার মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
চ্যান্সেলর শল্ৎস বলেন, এই বহুজাতিক বাহিনীতে শুধু ইউরোপীয় দেশগুলোই নয়, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং আরও কয়েকটি রাষ্ট্র অংশ নেবে।
বার্লিনে গত দুদিন ধরে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। ইউরোপের নেতৃত্বে এবং মার্কিন সমর্থনপুষ্ট এই বাহিনী ইউক্রেনের আকাশ ও সমুদ্র সীমা রক্ষায় কাজ করবে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে দিয়ে আসছেন, তিনি ইউক্রেনে কোনো বিদেশি সৈন্য মোতায়েন মেনে নেবেন না।
জার্মান চ্যান্সেলর জানান, তারা এমন একটি অবস্থা তৈরি করবেন যাতে রাশিয়াকে এই প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হতে হয়। অন্যদিকে, ইউরোপে থাকা রাশিয়ার হিমায়িত সম্পদ জব্দ করার বিষয়ে বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে বৈঠক করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এই শীর্ষ সম্মেলনে ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানেরা অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ইউরোপে সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। তবে এই জটিল সংকটের সহজ কোনো সমাধান হবে কিনা, তা নিয়ে চলছে তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনা।
