যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি পাকিস্তানের পুরনো এফ-১৬ যুদ্ধবিমান উন্নয়ন এবং দক্ষিণ এশিয়ার খনিজ প্রকল্পে ১শ’ কোটি ডলারের বেশি তহবিল অনুমোদন করেছে। এই সিদ্ধান্তকে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কের নতুন গতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘনিষ্ঠতা ভারতের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিউ ইয়র্কের এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়া উদ্যোগের পরিচালক ফারওয়া আমের বলেন,
“মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্ক স্পষ্টভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এ ধরনের পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অর্থবহ ও ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।”
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও ইউএস স্ট্র্যাটেজিক মেটাল্সের মধ্যে ৫০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তির আওতায় বেলুচিস্তানের বিরল মৃত্তিকা উপাদান ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করা হবে। উল্লেখ্য, বেলুচিস্তান অঞ্চলটি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যেখানে চীন-পরিচালিত গাদার বন্দর অবস্থিত।
তবে সেখানে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার কারণে বিনিয়োগ প্রবাহ ধীর হয়ে পড়েছে, যা বেইজিং-ইসলামাবাদ সম্পর্কের ওপরও চাপ সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নয়ন ভারতের জন্য স্বস্তির নয়। ফারওয়া আমের বলেন,
“সামগ্রিকভাবে এটি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের জন্য একটি সম্ভাব্য সঙ্ঘাতের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে।”
এই ঘনিষ্ঠতার ছাপ দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ব্যক্তিগত সম্পর্কেও। গত জুনে হোয়াইট হাউসের এক মধ্যাহ্নভোজে ট্রাম্প, মুনিরকে ‘আমার প্রিয় ফিল্ড মার্শাল’ বলে উল্লেখ করেন, যা কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
