সৌদি আরবের সঙ্গে কয়েক দশকের অংশীদারিত্ব ভেঙে গেছে: মার্কিন সিনেটর

মার্কিন সিনেটর ক্রিস মার্ফি বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে তার দেশের কয়েক দশকের অংশীদারিত্ব ভেঙে পড়েছে। তিনি এখন সৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক মিত্রতার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

গত বুধবার তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সৌদি আরব সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচণ্ড রকমের ক্ষুব্ধ হয়েছে আমেরিকা। সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্ত আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মধ্যবর্তী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট দলের জন্য ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ ও জরিপ থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, নির্বাচনে রিপাবলিকানদের কাছে ধরাশায়ী হতে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এবং ডেমোক্র্যখট দল মনে করছে, ওপেক প্লাসের তেল কম উৎপাদনের এই সিদ্ধান্ত মার্কিন তেলের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। এর ফলে আমেরিকায় তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে যা মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের জন্য ভরাডুবির কারণ হবে।

এক সাক্ষাৎকারে সিনেটর ক্রিস মার্ফি বলেন, "আমাদের বন্ধু বা শত্রুর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বৈঠক নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই কিন্তু এটি পরিষ্কার যে, সৌদি আরবের সঙ্গে কয়েক দশকের অংশীদারিত্ব ভেঙে গেছে।

গত বুধবার ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তের পর ক্রিস মার্ফিসহ আমেরিকার অনেক কংগ্রেস সদস্য সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া, কয়েকজন কংগ্রেসম্যান সৌদি আরব থেকে সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করার জন্য কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করেছেন। ক্রিস মার্ফিসহ কয়েকজন সিনেটর সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টিও পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
 খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news