মানবাধিকার ইস্যুতে ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাকরন: ইরান

ইরানের দাঙ্গাবাজদের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের তীব্র সমালোচনা করেছে ইরান। একইসঙ্গে মানবাধিকার ইস্যুতে প্যারিস যে দ্বৈত নীতি গ্রহণ করেছে সেকথাও ফরাসি প্রেসিডেন্টকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে তেহরান।

ইরানে মহিলা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি নারী মাহসা আমিনি অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে গত কিছু দিন ধরে সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।তাদের নাশকতামূলক তৎপরতার হাত থেকে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে ইরানের পুলিশ দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন শুক্রবার এক বক্তৃতায় তার ভাষায় ‘ইরানি বিক্ষোভকারীদের দমনের’ সমালোচনা করে বলেন, তিনি ইরানি ‘বিক্ষোভকারীদের’ পাশে আছেন এবং ‘বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতার’ জন্য লড়াই করছেন।


ইরানের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ম্যাকরনের এ হস্তক্ষেপমূলক বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, তার দেশের সংবিধানে জনগণকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করার অধিকার দেয়া হয়েছে। কিন্তু সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে যারা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে তাদেরকে এ ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালানোর অধিকার দেয়া হয়নি।

কানয়ানি বলেন, দাঙ্গাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইরানি পুলিশ যে চেষ্টা চালাচ্ছে তাকে ‘সহিংস আচরণ’ উল্লেখ করে তা বন্ধ করার যে আহ্বান ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন তা দৃষ্টিকটু। ইরানের এ মুখপাত্র বলেন, ম্যাকরন এমন সময় ইরানকে নিয়ে এ বক্তব্য দিয়েছেন যখন ফ্রান্সের তেল, গ্যাস ও শোধনাগার সেক্টরের কর্মচারীদের ধর্মঘট চলছে। ম্যাকরন প্রশাসন ওই ধর্মঘটকারীদের এই বলে হুমকি দিয়েছে যে, তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে বলপ্রয়োগ করে তাদেরকে বাধ্য করা হবে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এই দ্বৈত আচরণ ও ভণ্ডামির তীব্র সমালোচনা করে কানয়ানি বলেন, প্যারিস প্রমাণ করেছে তার দৃষ্টিতে মানবাধিকার অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ ও পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের একটি হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু নয়।

খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news